পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Noy বাংলার পুৱালারী বাসুর প্রথম ডাকাতি কিছুদূর হাঁটিয়া যাইয়া এক গাছ-তলায় বসিয়া কানু বাসুকে বলিল, “আজ এক বুড় বামুন ও তাহার বামনী, গাঙ্গের ওপারে যাইবে । সোনা মাঝির নৌকায় রাত থাকিতে আমায় তাহাদিগকে পার করিয়া দিতে হুইবে । তুমি কি আমার সঙ্গে যাইতে পারিবে ?” বাসু বলিল “সোনা মাঝি আপন ভাড়া রাইখা । তোমাকে দিল নৌকাখানি কোন সুবিধা দেইখা ।” কানু বলিল, “তুমি বুঝি জান না, এই চার পাঁচ দিন সোনা মাঝি জ্বরে বেহুস, তার নৌকা ঘাটে বাধা আছে। আমরা তাহার নৌকাখানিতে ঠাকুরঠাকরুশকে তুলিয়া লইয়া গঞ্জের ঘাটের ভীষণ আবৰ্ত্তের মধ্যে নৌকাখানি ডুবাইয়া দিব। বুড় বামুনের যে সকল টাকা মোহর এবং জহরত আছেতাহা আর কি বলিব, তাহা এক রাজার ঐশ্বৰ্য্য ! কাল সন্ধ্যাবেল আমি তাহা দেখিয়াছি।” বাসু বলিল, “দাদা,তুমি ঠাকুর-ঠাকুরাণীকে ব্ৰহ্মপুত্রের ঘূর্ণাপাকে ডুবাইবে কিন্তু নৌকাখানি ডুবিলে সেই ভয়ানক ঘূর্ণ পাক হইতে আমরা কি ভাবে উদ্ধার পাইব ? সে বড় বিষম স্থান, তাহার মধ্যে পড়িলে কেউ রক্ষা পায় না, আমরা দু’জনে কি ভাবে রক্ষা পাইব ?” কানু বলিল, “ভাই, আমি কি আগে না বুঝিয়া কোন কাজে হাত দেই ? তুমি ভেবন, আমি শভুজেলের কাছ থেকে একটা খুব লম্বা দড়ি চাহিয়া আনিয়াছি-সে দাঁড়িটা এত লম্বা যে তুমি তাহা ধারণাই করিতে পারিবে না। সেই দড়িটার একটা দিক গাঙ্গের পাড়ের বড় শিমূল গাছটার সঙ্গে বাধা থাকিবে, আর একটা দিক একটা ভূরার সঙ্গে আটকাইয়া রাখিব, ভূরাটা একটা খুব আলগা দড়ির জোরে নৌকার সঙ্গে সঙ্গে চলিবে, উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইলে আমরা সেই ভূরায় চড়িয়া অনায়াসে বাড়ীতে ফিরিতে পারিবী। যত