পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

arfvNS VOYNO ঘরে কেহ নাই। দেখিয়া শুনিয়া বিবাহ কর। --না হইলে এমনভাবে দিন গুজরান হইবে কিরূপে ? এইখান থেকে তিন ক্রোশ দূরে মাইন্দা গ্রাম, সেখানে সাধুশীল নামক তোমাদের জাতির একটি ভাল লোক আছে, শুনিয়াছি তার একটি সুন্দরী মেয়ে আছে, তুমি সেখানে যাইয়া বিবাহের প্ৰস্তাব কর । নির্বন্ধ থাকিলে তোমার ভাগ্যে একটি ভাল বউ জুটিয়া যাইতে পারে।” এই কথাগুলি বাসুর মন্দ বোধ হইল না। পরদিন প্ৰত্যুষে উঠিয়া সে চাদরখানি লইয়া মাইন্দা গ্রামের দিকে রওনা হইয়া গেল। চৈত্র মাসের মাথা-ফাটা রোদ-বাসু তাহার চাদরখানি ভাল করিরা মাথায় বঁাধিয়া লইল । বেলা প্ৰায় তিন প্ৰহরের সময় সে মাইন্দা গ্রামে আসিয়া পৌছিল। সম্মুখে বালুখালির টল-টল জল-বাসুর বড়ই তৃষ্ণ পাইয়াছিল, তাহার মনে হইতেছিল, সেই খালের জল প্ৰাণ ভরিয়া অঞ্জলিতে করিয়া খাইয়া তৃষ্ণা নিবারণ করে। খালের এপারে কোন বসতি নাই, একটা বড় শিমুল গাছে টকটকে লাল ফুল ফুটিয়া আছে, ওপারে ঘন বসতি, সারি সারি বাড়িঘর এবং সেখান হইতে মেয়েরা কলসী কঁাখে জল লইতে আসিতেছে- এবং জল্প ভরা হইলে মৃদুমন্থর গতিতে বাড়ী ফিরিয়া যাইতেছে। হঠাৎ বাসু দেখিল, একটি পরম রূপসী কন্যা ওপারের এক বাড়ী হইতে খালের দিকে আসিতেছে, বাসু সেই সময় খালে নামিয়া জল খাইতে লাগিল, সেই সুন্দরী রমণী চক্ষু মাটির দিকে নত করিয়া আসিতেছিল-সে বাসুকে দেখিতে পাইল না। তাহার বুকে শ্যামলী রঙ্গের একখানি গামছা-আর-“ছাড়িয়া দিছে চুল। সেই চুলে পায়ের পাতা পাইয়াছে নাগুল।” সেই অপসরার মত রূপসী কন্যাকে দেখিয়া বাসু স্তব্ধ হইয়া দাড়াইয়া রহিল। “বাসু ছিল সোণার কান্তি রূপ মনোহর।” মেয়েটি চোখ মেলিয়া চাহিতেই তাহাকে দেখিতে পাইল । কুমারী বাসুকে দেখিয়া খুব সুন্দর মনে করিল। এই প্ৰথম দর্শনেই উভয়ে উভয়ের রূপে মুগ্ধ হইল। বালুখালি খুব ছোট খাল, এপার হইতে কথা বলিলে তাহা বেশ শোনা যায়। বাসু খালের পাড়ে দাড়াইয়া মৃদুস্বরে 8 O Q