পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NOS বাংলার পুৱালারী কথায় কথায় রাগ করিয়া নূতন বিউটিকে জ্বালাতন করিয়া মারিবে-এ সকল কথা তো গৃহস্থ মাত্রেই জানে।” এরূপ অকাট্য শাস্ত্ৰ-বচন স্বামীর মুখে শুনিয়া বাসুর থালায় যে সকল ভাজাপোড়া দেওয়া হইয়াছিল, তাহা গিন্নি উঠাইয়া লইল। কিন্তু বাসু ইহাতে খুব সন্তুষ্ট হইল না। ;- "दांश डांद दांध कि 8श्ल ५है ना कर 6 क्षिण । মন্ত বড় কই মাছ ভাজা আর বেগুন পোড়া গেল। আলু ভাজা, বেগুন ভাজা, ভাজা তিলের বড় । বেসন দিয়া উল্কি ভাজা চাপটি কড় কড়া।” এই সকল মনের মত দ্রব্য পাইয়া সে খাইতে পাইল না। কিন্তু দুঃখের মধ্যে একটা সান্তনার কথা ছিল ; সে যে এই বাড়ীর ভাবী জামাই হইবে, তাহার ইঙ্গিত শ্বশুর ম’শায় দিয়াছেন । ছোট বউ আসিয়া কলাই শাক দিয়া রান্নাকরা কৈ মাছের মুড়িঘণ্ট অনেকখানি দিয়া গেল । শুক্তানি দিয়া বাসু অনেকটা ভাত খাইয়া ফেলিল। তারপর খইলাসা পুটির চচ্চড়ি আসিল, বাসু তাহার প্রতি যথেষ্ট ন্যায় । বিচার করিল। মেজো বউ কিছুতেই ডাল গলাইতে পারে নাই, সেই আধাগলা ডাল বাটিতে পড়িয়া রহিল, বাসু তাহা স্পর্শ করিল না। কিন্তু বোয়ালের পেট দিয়া মুগ ডালের যে ঘণ্ট রান্না হইয়াছিল, তাহা বাসু খুব তৃপ্তির সঙ্গে খাইল, তবে সেই ঘণ্টে কিছু অতিরিক্ত মাত্রায় লঙ্কা পড়াতে তাহ টকটকে লাল বর্ণ হইয়াছিল, খাইতে বেশ মুখ-রোচক হইয়াছিল, সুতরাং নাকের জল চোখের জলে মিশাইয়াও বাসু তাহার পুরো একবাট খাইতে ছাড়িল না। রুই মাছের ঝোল সে সাবাড়া করিয়া পুনরায় শূন্য বাটিটার উপর দৃষ্টিপাত করিল, এক বউ আসিয়া বাটটা আবার ভৰ্ত্তি করিয়া দিল। একবাটি আমসীর অম্বল সে এক চুমুকে খাইয়া ফেলিল এবং উপসংহারে এক বাটি ঘন দুধ ও একবাটি দই খাইয়া সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিল। সাধুশীল বাসুর খাওয়া দেখিয়া খুলী হইল -