পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিকেল পাখী খাওয়ার সাধ বর ও কনে বাড়ী ফিরিয়াছে। কানুর মা পড়সী লইয়া আসিয়া বউকে দেখিয়া খুব খুসি, তারা বলাবলি করিতে লাগিল, যোটক অতি চমৎকার হইয়াছে। বাসু আর ঘর হইতে বড় বাহির হয় না। একদিন দুপুর বৈলা খাওয়া দাওয়ার পরে বাসু’ খুব গরম বোধ করিল। গ্রীষ্মকাল-সে ঘরে থাকিতে পারিল না, বাহির হইয়া বাগানের গাছ পালা দেখিতে লাগিল, সেই সকল গাছের নূতন পাতা জন্মিয়াছে, তাহাদের স্পর্শে শীতল হইয়া বায়ু তাহার অঙ্গ স্পর্শ করিল, সে কতকটা সোয়াস্তি বোধ করিল এবং দূর আকাশে যেখানে কতকগুলি পাখী উড়িতেছিল-সেই দিকে এক দৃষ্টে চাহিয়া রহিল। এদিকে মাণিকতারা স্বামীর খাওয়ার পরে নিজেও আহার শেষ করিয়া পান সাজিয়া নিজে একটা খিলি খাইয়া পানের বাটা হাতে করিয়া স্বামীকে খুজিতে লাগিল। খুজিয়া খুজিয়া সে হয়রাণ হইল, কোথাও বাসু নাই। তারপরে গাছগুলির ফাক দিয়া দেখিতে পাইল, একটা দূর গাছের নীচে দাড়াইয়া বাসু আসমানের দিকে চাহিয়া কি দেখিতেছে। তাড়াতাড়ি স্বামীর কাছে যাইয়া সে বলিল, “আমি সারাবাড়ী তোমাকে খুজিয়া মরিতেছি, তুমি কোথায় ছিলে বল তো ? এই গাছ তলায় দাড়াইয়া উৰ্দ্ধমুখে কাহার চিন্তা করিতেছ ? আমাকে এই কয়েক দিনের মধ্যেই মন হইতে বিদায় করিয়া দিয়াছ ?” বাসু বলিল, “তুই আমার কলিজার হাড় চোখের কাজল। কিবা কথা কইলি তারা, হইলা কি পাগল ।” মাণিকতারা বলিল, “তবে আকাশের দিকে এমন ধারা ধ্যানস্থ হইয়া কি দেখিতেছিলে ?” 8 y