পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VOAV" বাংলার পুৱালারী কালু হুকুম করিল, “কাল সকালে ইহাদের বিচার হইবে। ইহাদের সকলকে খণ্ড খণ্ড করিয়া কাটিব । আজ বিশ্রাম করা যাক। তোমাদের মধ্যে যাহাঁদের অবসর আছে, তাহারা মুরগী রসুই কর এবং খিচুড়ি রান্না কর । আজ রাত্ৰে খাইয়া দাইয়া বিশ্রাম করা যা’ক । কাল ইহাদিগকে হত্যা করিয়া টাকার তোড়ার সন্ধান করা যাইবে।” ইহার মধ্যে ছয় তোড়া টাকা লইয়া বাসু আসিয়া কানুর মার বাড়ীতে পৌঁছিল। কানুর মা বলিল, “সে কি বাসু টাকা তো আসিল কিন্তু আমার কানুকে কোথায় রাখিয়া আসিলে ?” বাসু বলিল “মাসীমা, ভয় নাই, কানুর সঙ্গে আমার দলের লোক আছে, আমি টাকার তোড়া কয়েকজন বাহকের কঁধে চড়াইয়া দিয়া শীঘ্ৰ শীঘ্ৰ আসিয়াছি, কানুদা এখনই আসিয়া পড়িবে।” এমন সময় ৪৫ জন লোক ছুটিতে ছুটিতে আসিয়া বাসুকে একটা নিরালা জায়গায় লইয়া গিয়া সমস্ত অবস্থা জানাইল । কানু ও তাহাদের দলের কয়েকটি লোককে যে কালু সর্দার ধরিয়া লইয়া গিয়াছে এবং পরদিন তাহাদিগকে কাটিয়া ফেলিবে এবং এখানে বাড়ী লুট করিতে আসিবে, এই সমস্ত সংবাদ বাসুকে দিল । বাসু এই সংবাদে অত্যন্ত অভিভূত হইয়া পড়িয়া মাণিকতারার কাছে সমস্ত অবস্থা জানাইল এবং কানুদাকে উদ্ধার করিতে যে সে এখনই যাইবে তাহাও বলিল । মাণিকতারাকে একা বাড়ীতে রাখিয়া বাসু রওনা হইয়া গেল, সে পথে সংবাদ পাইল কালু সর্দার আজ আর তাহার বাড়ীতে ফিরিবে না, খালের ঘাটে তাহার নৌকা বাধা ও সে এবং তাহার দলের লোকেরা আহারাদির পরে বেশ ঘুমাইতেছে। কিন্তু বাসু সেই নৌকা আক্রমণ করিতে সাহস পাইল না। সুবিধার প্ৰতীক্ষায় সে একটা ঝোপের মুখে লুকাইয়া রহিল।