পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांगिकडों ब्र DRod নৰ্ত্তকী সাজা ও দুলুকে বঁধিয়া ফেলা মাণিকতারা কানুকে কিরূপে উদ্ধার করিবে, তাহাই চিন্তা করিতে লাগিল। ভাবিয়া চিন্তিয়া সে তাহদের ভাল নানা রংএর সুন্দর নৌকা খানি সাজাইতে হুকুম দিল। এবং স্বামীর অনুরক্ত কয়েক জন খুব বলিষ্ঠ ডাকাইতকে নৌকাতে উঠিতে বলিল। এদিকে ঘরে আসিয়া পাথুকে নানারূপ অলঙ্কারে দেবী প্ৰতিমার মত করিয়া সাজাইল এবং নিজেও সুন্দর বেশভূষায় সজ্জিত হইয়া নৌকায় উঠিল। নৌকা খয়রা খালের উপর দিয়া হেলিয়া দুলিয়া চলিল। সে জানিতে পারিয়াছিল যে আজ কালু সর্দার বাড়ীতে নাই, সুতরাং সেই বাড়ীর দিকে নৌকাখানি বাহিয়া লইয়া যাইতে আদেশ দিল। পঞ্চ খেমটা সাজিয়া ঝুমুর ঝুমুর শব্দে নুপুর বাজাইয়া নাচিতে লাগিল এবং মাণিকতারা তাল রাখিয়া গান করিতে লাগিল, দলের লোকেরা খুব হাস্য-পরিহাস করিয়া দোহার করিতে লাগিল। কালু সর্দার বাড়ী ছিল না, কিন্তু তাহার লম্পট শিরোমণি যুবক পুত্ৰ দুলু বাড়ীতেই ছিল। সে দেখিল—একখানি সুন্দর রঙ্গীন নৌকু তাহদের খাল দিয়া চলিয়াছে, তাহাতে বহু দীপ জ্বলিতেছে, সেই দীপালোকে নানা অলঙ্কারে ভূষিতা এক ষোড়শী রমণী নাচিতেছে এবং আর একটি সুন্দরী যুবতী অতি মিষ্ট স্বরে গান করিতেছে। সঙ্গীদের কলহাস্যে এবং পরিহাস রসিকতায় নৌকাখানি যেন পাখীর মত উড়িয়া চলিয়াছে। কালু সর্দারের উপযুক্ত পুত্র দুলুই সেখ। চিৎকার করিয়া বলিল, “সুন্দর নৌকাতে চৈড়া নাচ তোমরা কে ? ভাল চাস তো কালুর ঘরে পরিচয় দে।” তাহার আদেশে মাঝিরা নৌকাখানি কালু সর্দারের ঘাটে লাগাইল । মাণিকতারা বলিল, “আমরা কাজি সাহেবের লোক । তিনি চরের উপর র্তাবু খাটাইয়া আছেন, আজ বাকী রাতটুকু আর আমাদের দিয়া তাহার 8文