পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'COO বাংলার পুৱালারী এদিকে সোনাইএর বয়স বাড়িয়া চলিল। চতুর্দশীর চাঁদ যেন পূর্ণিমার চাদ হইল। একলা ঘরে এই পরম রূপবতী কন্যাকে লইয়া বিধবা মাতা কিরূপে থাকিবেন,-সোনাইএর রূপের খ্যাতি চারিদিকে প্রচার হইয়াছে, কোন দিন কোন বিপদ ঘটে,-মা তাহাই ভাবিতে লাগিলেন। মায়ের কুঞ্চিত কপাল দেখিয়া সোনাই তাহার দুর্ভাবনার কথা বুঝিতে পারিত। সে একলা ঘরে বসিয়া কেবল কঁাদিত। এই কান্না ছাড়া তাহার আর কিই বা অবলম্বন আছে। মাতুলালয়ে গমন ও পতি সম্প্রদর্শন দীঘলহাটি গ্রামে সোনাইএর মামার বাড়ী ; মা ও মেয়ে যুক্তি করিয়া, নিজ ভদ্রাসন ছাড়িয়া সোনাইএর মা তঁহার ভাইএর বাড়ীতে চলিয়া গেলেন । ভাইএর নাম ভাটুক ঠাকুর-তেঁাহার পেশা যজমানী। বেশী আয় নাই, কিন্তু যজমানী করিয়া তিনি যাহা উপাৰ্জন করেন, তাহাই ভাটুিক ঠাকুরের পক্ষে যথেষ্ট, কারণ র্তাহার সন্তানাদি কিছু নাই। সোনাইএর মামা ও মামী তাহাদিগকে পাইয়া খুসিই হইলেন ; সোনাইএর মুখখানি চাপা ফুলের মত, তার দীঘল চুল পায়ের তলায় যাইয়া পড়িয়াছে। মামা তাহাকে একখানি দামী নীলাম্বরী শাড়ী কিনিয়া দিলেন, সেই শাড়ী পরিয়া মেয়ে যখন নদীর ঘাটে যায়, তখন চারিদিকের লোক চাহিয়া থাকে। এমন সুন্দরী মেয়ে সে তল্লাটে নাই। বাড়ীতে ভাই ভগিনী দিনরাত্রি পরামর্শ করেন, এ মেয়ে কার হাতে দেওয়া যায়। এমন রূপসী কন্যাকে বিবাহ করিতে অনেকের ইচ্ছা, ঘটক রোজই আসে যায়। কিন্তু সোনাইএর মার মনটি বড় খুৎখুতে, কিছুতেই র্তার মন উঠে না। একদিন ঘটক একটি বরের সংবাদ দিল,-ধনে, জনে, বিদ্যায় সে বর খুবই ভাল। কিন্তু তাহার বর্ণটি একটু কালো। “এমন