পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন-কথা S/o অধ্যাপক ডাঃ ষ্টেল ক্রেমরিশ লিখিয়াছেন—“মহুয়ার অনুবাদ পড়িয়া বাড়ীতে আসিয়া আমি তিনদিন জ্বরে ভুগিয়াছিলাম। এই তিনদিন স্বপ্নে জাগরণে কাব্যের নদের চাদ, মহুয়া, পালঙ্ক সখী ও হোমরা বেদে আমি যেন চক্ষে দেখিয়াছি। সমস্ত ভারতীয় সাহিত্যে আমি মহুয়ার gांश डाल qक ि१ांझ १lद्धि नाझे।” বঙ্গের ভূতপূর্ব শিক্ষা বিভাগের কর্তা মিঃ ওটেন লিখিয়াছেন, “মিলের ধোঁয়া ও ধূলি বালিতে আচ্ছন্ন সহরের মলিন আকাশ দেখিতে অভ্যস্ত চক্ষু যদি সহসা পূর্ববঙ্গের অবাধ নদ নদী ও মুক্ত আকাশ বাতাসের সম্মুখীন হয়, তবে তাহার মনের ভাব যেমন হয়—কৃত্রিম ও পাণ্ডিত্যের আড়ম্বরপূর্ণ সাহিত্য পড়িয়া ক্লান্ত মন এই জীবন্ত পল্লীগীতিকা-পাঠে তেমনই তৃপ্তি লাভ করিবে ।” এ্যামেরিকান সমালোচক এ্যালেন লিখিলেন, “এই গীতিকাগুলি পাঠ করিয়া মনে হইল বাঙ্গালী জাতি যৌবনের ক্ষুৰ্ত্তি কিছুমাত্র হারায় নাই, বহু সহস্ৰ বৎসরের সংস্কৃতির পরে তাহারা আজও পাশ্চাত্য দেশের লোকের মত সক্রিয় ও জীবন্ত আছে, ইহাদের সঙ্গে আমাদের জ্ঞাতিত্ব ও ভাব-সাম্য এই গীতিকাগুলি পড়িয়া আমি বিশেষভাবে উপলব্ধি করিলাম। যে পরিমাণে এই প্ৰাচীন গীতিকাগুলির মৰ্ম্ম বঙ্গীয় পাঠকেরা গ্ৰহণ করিতে পারিবে সেই পরিমাণে তাহারা ভাবী উন্নতির পথে সিদ্ধিলাভ করিতে পরিবে ।” লর্ড রোণান্ডসে (মারকুইস অব জোটল্যাণ্ড) লিখিলেন, “আমাদের প্ৰাদেশিক শাসন কৰ্ত্তারা এদেশের লোকের চরিত্রের পরিচয় ভাল করিয়া জানিতে চাহিলে তাহদের প্রত্যেকের এই গীতিকাগুলি ভাল করিয়া পাঠ করা উচিত।” বহু সুদীর্ঘ সমালোচনা ও মন্তব্য হইতে উপরে অতি সামান্য কয়েক ছত্র উদ্ধৃত হইল। গত বৎসর সুপ্ৰসিদ্ধ ফরাসী লেখক রোমা রোলার বিদুষী ভগিনী দীনেশচন্দ্রের এই পল্পী-গীতিকা হইতে দশটি গীতি ফরাসী ভাষায় অনুবাদিত করেন। প্ৰসিদ্ধ চিত্ৰশিল্পী মিসেস এ্যাণ্ডি, পারকলিস হগম্যান এই পুস্তকখানি নানা চিত্র পরিশোভিত করিয়া প্ৰকাশিত করিয়াছেন। ফরাসী দেশে এই