পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই দীঘল-হাটি গ্রামে বাঘর নামক এক অতি দুর্জন লোক ছিল,- সে সিন্দুরের ব্যবসা করিয়া খুব প্ৰতাপশালী হইয়াছিল। বড়লোক, বিশেষ মুসলমান রাজপুরুষদিগকে সুন্দরী কুলবধুর সন্ধান দিত-এবং এই কাৰ্য্যের জন্য বিশেষ পুরস্কার পাইত। বাঘরা সামান্য লোক ছিল না, এখনও নেত্রকোণা অঞ্চলে একটা প্ৰকাণ্ড জমি “বাঘরার দাওর” নামে পরিচিত; এই বিল জমিটা বাঘরা নিশ্চয় তাহার কাৰ্য্যের পুরস্কার স্বরূপ পাইয়াছিল। এই জমি বর্ষায় ডুবিয়া যায়, তখন ইহা একটা বিশাল বিলে পরিণত হয়। গ্রীষ্মকালে জল শুকাইয়া যায়, কিন্তু মাঝে মাঝে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র 哥研f羽 q忙下1 বাঘরা যাইয়া দেওয়ান সাহেব ভাবনাকে বলিল, “হুজুর আপনার জমীদারীর মধ্যে এই দীঘল-হাটি পল্লীতেই ভাটুিক বামুনের এক পরমা-সুন্দরী ভাগিনী আসিয়াছে। তাহার রূপের কথা কি বলিব ! আপনি অবশ্য অনেক রূপসী দেখিয়াছেন, কিন্তু এমন রূপসী দেখেন নাই। যদি আপনি বলেন। তবে আপনার জন্য মেয়েটিকে সংগ্ৰহ করিতে পারি।” বাঘারাকে তখনই দেওয়ান সাহেব একটা কুলায় মাপিয়া স্বর্ণ মুদ্রা দিলেন এবং বলিলেন, “এ কাজটি তোমার করা চাই-ই ।” বােঘরা গোপনে ভাটুক ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করিয়া বলিল-“মেয়েটাকে দেওয়ান সাহেবকে দাও-পরম সুখে সে র্তাহার রাজপুরীতে থাকিবে, র্তাহার যতগুলি নিকার স্ত্রী আছে তাহারা সোনাইএর বঁাদি হইয়া থাকিবে, হীরামণি জহরতে তাহার সর্বাঙ্গ ঢাকা থাকিবে,-সুতরাং সোনাই আজীবন সুখে কাটাইবে, ইহাতে তিল মাত্ৰ সন্দেহ নাই। “আর তোমারও যে এবিষয়ে লাভ না আছে, তাহা নহে। তোমার বাড়ীর কাছে দেওয়ান ভাবনা দীঘি কাটাইয়া দিবেন, তাহার চার পাড়ে চারটি সান-বাঁধা ঘাট থাকিবে। তোমাকে বাহাল্প পুৱা জমি তিনি দিবেন,