পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোলাই VOGO মাতা-পিতার গ্লানিকর কোন কাজ করিব না । বিদায় কালে তঁাহার চরণে আমার শত প্ৰণাম দিও। আমার প্রাণের বঁধুর সঙ্গে কি তোমার দেখা হইবে, দেখা হইলে আমার অবস্থা তঁহাকে জানাইও । আমি র্তাহার জন্যই আসিয়াছিলাম, তা না হইলে যজ্ঞের ঘি কি কুকুরে লেহন করিতে সাহসী হয় ? আমি কলসী ও দড়ির সাহায্যে। জলে প্ৰাণ বিসর্জন দিব, নতুবা আগুনে পুড়িয়া মরিব । বড় দুঃখ রহিল, আমি তাহার চন্দ্ৰমুখখানি আর একটিবার দেখিতে পাইলাম না। চন্দ্ৰ, সূৰ্য্য, দিবা-রাত্ৰি, তোমরা সকলে সাক্ষী,-বঁধু কোথায়-তােহা তোমরা দেখিতেছ! আমার কথা তাহাকে বলিও । ওই আকাশে পাখীর বঁাক, তোমরা কোথায় উড়িয়া যাইতেছ ? তোমাদের দৃষ্টি বহু দূর প্রসারিত, তোমরা অবশ্যই আমার প্রাণের বঁধুকে দেখিতে পাইবে, তোমরা দয়া করিয়া তাহার চরণে আমার কথাগুলি বলিবে । হে কেয়া ফুলের ঝাড়, হিজল গাছের নূতন পাতা, যদি বঁধু এখানে আসেন, তবে তোমাদের মৰ্ম্মর শব্দে তঁাহাকে দুঃখিনীর দুঃখের কথা জানাইও ।” এই বলিতে বলিতে দেওয়ানের ডিঙ্গিতে হস্তপদাবদ্ধ বন্দীর বেশে রূপসী কন্যা অদৃশ্য হইল। কিন্তু এই দুঃখের মধ্যে একটা প্ৰবল আশঙ্কা তাহার মনে হইতেছিল। “মাধব আসিবেন বলিয়া দৃতিকে বলিয়া দিয়াছিলেন, বিপন্নাকে আশ্বাস দিয়া তিনি আসিলেন না কেন ? তবে কি তঁাহার কোন বিপদ হইয়াছে ? ঝড় উঠিয়াছে, নদীর ঢেউগুলি তোলাপাড় করিতেছে, বঁধুর নৌকায় তো কোন বিপদ হয় নাই । তিনি কেন আসিলেন না ।” সোনাই আৰ্ত্তনাদ করিয়া কঁাদিয়া উঠিল । উদ্ধার ও বিবাহ সহসা সেই ঝড়ের রব ছাপাইয়া একটা উচ্চ চীৎকার শুনিতে পাওয়া গেল। এক যুবক পান্সী নৌকার মাঝিদিগকে ডাকিয়া বুলিতেছিল-“তোমা