পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোলাই \980 भशख्छन् 6प७शोन्म বিবাহ হইয়া গেছে, অকস্মাৎ পুরীতে ক্ৰন্দনের কলরব ! কি হইয়াছে ? সৰ্ব্বনাশ হইয়াছে, মাধবের পিতাকে দেওয়ান ভাবনার লোকেরা আসিয়া বঁাধিয়া লইয়া গিয়াছে । মাসকালব্যাপী উৎসব অৰ্দ্ধপথে থামিয়া গিয়াছে।। "মাধব তখনি একটা বড় ভাওয়ালিয়া সাজাইতে হুকুম দিয়া বিবাহের বেশ ছাডিয়া দরবারী পোষাক পরিয়া ভাবনার রাজধানী অভিমুখে চলিলেন,-ধনপতি সদাগরকে ফিরাইয়া আনিবার জন্য তরুণ শ্ৰীমন্ত যেরূপ সমুদ্র যাত্ৰা করিয়াছিলেন, মাণিক চাকলাদারকে উদ্ধার করিবার জন্য বালক সুধন যেমন ছুটিয়াছিলেন,-তেমনই মাধব র্তাহার পিতাকে উদ্ধার করিতে রওনা হইলেন । কয়েকদিন পরে বিষন্নমুখে, সাক্ষাৎ শোকের মূৰ্ত্তি শীর্ণ দেহে, কুঞ্চিত ললাটে বৃদ্ধ নিজ গৃহে ফিরিয়া আসিলে, তিনি কাহাকেও কিছু বলিলেন না । এক নিভৃত কক্ষে সোনাইকে ডাকিয়া আনিয়া চোখের জলে প্ৰায় রুদ্ধ কণ্ঠে বধূকে বলিলেন, “আমাদের সর্বনাশ উপস্থিত, তোমাকে সে কথা বলিতে আমার প্রাণ বিদীর্ণ হইয়া যাইতেছে, আমি সে নিৰ্ঘাত কথা বলিতে পারিতেছি না, অথচ তাহা বলিতেই হইবে, না বলিলে উপায় নাই । মাধব দরবারে যাওয়া মাত্র দেওয়ান সাহেব আমাকে বন্দীশালা হইতে ডাকাইয়া আনিলেন এবং বলিলেন,-“তোমাকে মুক্তি দিলাম, তোমার জায়গায় এই তরুণ কুমার এখানে নজর বন্দী রহিল। তুমি গৃহে ফিরিয়া যাইয়া নববধূকে এখানে পাঠাইয়া দাও। আমি প্ৰতিশ্রুতি দিতেছি, বধু এখানে আসা মাত্র আমি তোমার পুত্রকে সসম্মানে মুক্তি দিব এবং সে বাড়ীতে ফিরিয়া যাইবে । কিন্তু যদি তোমার বধু না আসেন। কিম্বা তুমি ভঁাহাকে পাঠাইতে অযথা বিলম্ব কর, তবে মাধবের শির দ্বিখণ্ডিত করিয়া তাহার রক্তে বধ্যভূমি রঞ্জিত করিব।” দ্বিরুক্তি করিতে অবসর না দিয়া দেওয়ান আমাকে মুক্তি দিলেন এবং মাধব র্তাহার হুকুমে বন্দীশালায় গেল।”