পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার পুৱালারী سSM গ্ৰাস করিয়াছিল, আজ তেমনই আর একটা দুঃখের দিন। সেই অমানিশার বিকট অন্ধকারে চারিদিক হইতে সে অন্ধকারের ডাক শুনিল । কঁদিতে কঁাদিতে বিষের কোঁটাটি খুলিয়া বিষবড়ি খাইয়া সে শয্যায় পড়িয়া রহিল । অব্যবহিত পরে দেওয়ান সেই ঘরে প্রবেশ করিল-তখন আর সোনাইএর দেহে প্ৰাণ নাই । “না দেখিল অভাগী মারে, আপনি বন্ধুজনে। কোথায় রইল প্ৰাণের বঁধু আজ এ দুদিনে । কোথায় রইল শ্বাশুড়ী কোথায় সাল্লা দুতি। নিদান কালে কাছে না রইল প্ৰাণ পতি ॥ দুর্জন দুষমন ভাবনার আশা না পুরিল। প্ৰাণ বঁধুরে বঁাচাইতে সোনাই পরাণে মরিল ॥” उंब्लष्ब् অষ্টাদশ শতাব্দীতে মোগল রাজত্ব অবসানের মুখে বঙ্গদেশে চোর ডাকাতের উপদ্রব খুব বাড়িয়া গিয়াছিল, পূর্ব সীমান্ত হইতে হাৰ্ম্মাদ (পর্তুগীজ জলদসু্য) মগ এবং দুর্দান্ত বিদেশী বণিকেরা অকস্মাৎ প্লাবনের মত নিম্ন বঙ্গের পল্লীগুলির উপর পড়িয়া লুট তরাজ করিত, কেবল ধন সম্পত্তি কাড়িয়া লইয়া তাহারা গৃহস্থকে রেহাই দিত না ; যদি কেহ এই লুণ্ঠন ব্যাপারে বাধা দিত। তবে তাহার ঘরে আগুন ধরাইয়া দিত। কিন্তু তাহাদের বিশেষ লক্ষ্য ছিল-সুন্দরী রমণীদের উপর, তাহাদিগকে তাহারা জোর করিয়া লইয়া যাইত এবং দক্ষিণাপথের হাটে বিক্রয় করিত। রমণীদের উপর এই অত্যাচার এদেশবাসী চিরকাল সহিয়া আসিয়াছে, যখন খৃষ্ট-পূর্ব যুগে গ্ৰীকেরা আসিয়াছিল, তখনও তাহারা রূপসী ললনাকুল ছাড়িয়া দেয় নাই, শিল্পী-স্থপতী এবং স্ত্রীলোকদিগকে তাহারা হত্যা করিত না, ব্ৰাহ্মণের