পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८णानां v08) তাহাদের ধৰ্ম্ম মানিত না এবং ক্ষত্ৰিয়েরা তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিত, এই দুই শ্রেণীকে তাহারা হত্যা করিয়া নিৰ্ম্মল করিতে চেষ্টা করিত। কিন্তু সেই ইতিহাস-পূর্ব যুগ হইতে ভারতের শিল্পী জগতের সেরা স্থান অধিকার করিয়াছিল, এবং ভারতীয় ললনাদের নানা অসামান্য গুণ ও রূপের খ্যাতি দেশ বিদেশে প্রচারিত ছিল। পারস্য দেশের বাজারে ও এ্যালেকজেণ্ডিয়ার হাটে এই রমণীরা এবং শিল্পীরা বিক্রীত হইত। হাভেল সাহেব লিখিয়া6छन, डांब्रऊँीश স্থপতী ও শিল্পীরা ভারতের অপ্ৰতিদ্বন্দ্বী কলা-শিল্প ও মঠ মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণ-রীতি জগতে প্ৰচলিত করিয়াছিলেন। মন্দিরাদিতে গম্বুজ লাগাইয়া-দেবমূৰ্ত্তির স্থলে লতা পাতা ফুল পুষ্প ও কলার অত্যাশ্চৰ্য্য সূক্ষ্ম কৰ্ম্মের আদর্শ দান করিয়া তাহারা শুধু এসিয়ায় নহে, ইউরোপেরও নানা স্থানে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচলন করিয়াছেন, ভারতীয় কত রমণী বিদেশে নীত হইয়া তাদেশীয় নাম, উপাধি ও ধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়া বিদেশীয়দের সঙ্গে মিশিয়া গিয়াছেন—তাহারও সীমা সংখ্যা নাই । বিদেশী পণ্ডিতেরা সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, মধ্য যুগে ইউরোপীয় গল্প সাহিত্যে ভারতবৰ্ষই ইউরোপীয়দিগকে হাতে খড়ি দিয়াছেন । পঞ্চতন্ত্র, হিতোপদেশ, কথা-সরিৎ সাগর প্ৰভৃতি মাগধ গল্প-সাহিত্য এবং বৌদ্ধ-জাতক গল্প ও পূর্ব ভারতের অতুলনীয় কথা-সাহিত্য হইতে ইউরোপ প্রেরণা পাইয়াছিল। পূর্ব ভারতের তান্ত্রিক উপাখ্যানগুলিও ড্রাইড পুরোহিতেরা উত্তর ইউরোপে চালাইয়াছিলেন । উইলসন, ম্যাকডোনাল্ড, হেনস এণ্ডারসন ও গ্রীস ভ্রাতৃদ্বয় এবং অন্যান্য বহু পণ্ডিত ভারতের নিকট ইউরোপের এই ঋণের কথা স্বীকার করিয়াছেন। কে জানে যে বিদেশগত রমণীরা আরবে, পারস্যে ও ইউরোপে এই কথা সাহিত্যের বিস্তারের পক্ষে কতকটা সাহায্য করিয়াছেন। কিনা ? মুসলমান আবির্ভাবের পূর্বেও হিন্দু রাজত্ব কালে এই প্রকার রমণীনিৰ্য্যাতন প্ৰচলিত ছিল । পল্লীর গল্প-সাহিত্য পৰ্য্যালোচনা করিলে তাহার প্ৰমাণ পাওয়া যায়। শ্ৰীবৎস ও চিন্তার গল্পে, রাজা তিলক-বসন্তের আখ্যানে এবং মহিষাল বঁধুর গল্পে, মলুয়া চরিত্রে এবং ভেলুয়ার উপাখ্যানে রমণীদের প্ৰতি এইরূপ উৎপীড়নের কথা পাওয়া যায়। মেয়েরা পল্লীর নিভূত পুরীতে পাতা ঢাকা ফুলের মত লুকায়িত থাকেন। কিন্তু ভঁাহারা নদীর