পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনাই Net) লিখিতেছে ; এই রূপের প্রতিমাকে ভোরের সময় জাগাইবার জন্য ডাহুক ও কোকিল ডাকিতেছে ও কুমার মাধব সাক্ষাৎ মন্মথের ন্যায় তাহার পুষ্প थgड छJा डांझां*न कब्रिश उधांgछन । কিন্তু যে বিধাতা সোনার তুলি দিয়া নানা কুসুম খচিত সৌরকরোজ্জল এই জগতের বিচিত্ৰ চিত্ৰ অঙ্কণ করেন, তিনি আবার সন্ধ্যায় একটা পাত্র হইতে সমস্ত কালিমা ঢালিয়া সেই সুন্দর দৃশ্যগুলি মুছিয়া ফেলেন। ইহাই ভগবানের লীলা ও যিনি সৌন্দৰ্য্যের চরম পরিকল্পনা করিতে পারেন, র্তাহার এই চরম নিৰ্ম্মমতা কোন কথায় ব্যাখ্যা করা যায় না-হিন্দু কবি তাই তাহাকে ‘লীলা” আখ্যা দিয়াছেন ! যে রাত্ৰিতে সোনাই বিষ খাইবে- সে রাত্ৰি কি ভীষণ । অমানিশার অন্ধকারে জগত নিমজ্জিত-একাকী নির্জন প্ৰকোষ্ঠে সোনাই শায়িতা। ঝিল্লি রবে, ডাহুকের চিৎকারে নানা পাখীর আর্ভরবে-চারিদিক মুখরিত। মৃত্যু সম্মুখে করিয়া সোনাই বসিয়া আছে, তাহার মাতাকে মনে পড়িল এবং অবিরল ধারায় আশ্ৰফ পড়িতে লাগিল। অতি শৈশবে সে পিতাকে হারাইয়াছিল, পিতার মূৰ্ত্তি তাহার মনে ছিল না। আজ এই ঘোর দুদিনে সে যেন তাহার মৃতকল্প পিতার মুখখানি দেখিতে পাইল।। যত দুঃখ সে জীবনে পাইয়াছে, আজ সকলে মিলিয়া আসিয়া তাহার সাক্ষাৎ করিল। আজ একটি সোনার পুতুল খেলিতে খেলিতে ভাঙ্গিয়া পড়িল, আঙ্গিনার ধূলি বালির সঙ্গে সোণার রেণু মিশাইয়া গেল। আজ সে বুঝাইয়া গেল, হিন্দু রমণী সত্যত হাস্যময়ী লীলাপরায়ণ, বনকুসুমের মত নিৰ্ম্মল ও প্ৰফুল্ল ; সে যেন চিরবসন্তের একটি চিত্ৰপটসোনার তুলিতে আঁকা স্বর্ণ-লেখা-কিন্তু সে দুঃখের সময় ভাঙ্গিয়া পড়ে না, তাহার চরিত্রের দার্ট্য ও একনিষ্ঠ ব্ৰত বিস্ময়কর। সে কুসুমের মত মৃদু। কিন্তু হঠাৎ প্ৰয়োজন হইলে সে বজাবৎ কঠিন হইতেও পারে। কবি লিখিয়াছেন, সে মাধবকে হৃদয়ের প্ৰেম জানাইয়া যে সকল কাব্য কথা বলিয়াছিল—তাহা শুধুই মুখের কথা নহে। “প্ৰাণ বঁধুকেই বঁাচাইতে সোনাই পরাণে মরিল।”