পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਨੇ जो कई মৈমনসিংহ জেলার বিপ্ৰপুর গ্রামে গুণরাজ নামে এক ব্ৰাহ্মণ বাস করিতেন। র্তাহার, স্ত্রীর নাম ‘বসুমতী”। এই দুইটি প্ৰাণী বহু কষ্টে কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করিতেন । ব্ৰাহ্মণ সারাদিন ভিক্ষা করিয়া সন্ধ্যাকালে মুষ্টি ভিক্ষা লইয়া গৃহে ফিরিতেন, তাহাতে স্বামী স্ত্রীর এক বেলার কোন রকমে আল্পের সংস্থান হইত। ইহার মধ্যে বাড়ীতে এক নূতন অতিথির আবির্ভাব হইল। ব্ৰাহ্মণ ও তাঁহার পত্নী কোনদিন পুত্ৰ কামনা করেন নাই, নিজেরাই খাইতে পান না-ছেলেকে খাওয়াইবেন কি ? কিন্তু যে পুত্র চাহে না, সে পুত্ৰ পায়, এবং যে চাহে, সে পায় না-সংসারের এই দুজ্ঞেয় রীতি অনুসারে গুণরাজ ও র্তাহার পত্নী একটি পুত্র লাভ করিলেন । ষষ্ঠীর দিন ব্ৰাহ্মণ তালপাতায় লিখিয়া তাহার নাম রাখিলেন “কঙ্ক’ । র্তাহারা বহু কষ্টে শিশুটিকে পালন করিতে লাগিলেন, কিন্তু শিশুটি অতি দুৰ্ভাগ্য। যখন তাহার দুই বৎসর বয়স, তখন মাতা বসুমতী হঠাৎ জ্বর।রোগে প্ৰাণ ত্যাগ করিলেন । এখন কেই বা শিশুটিকে দেখে, কেই বা ভিক্ষা করিতে যায় ! গভীর শোকে-দুঃখে পাগলের মত হইয়া স্ত্রীর মৃত্যুর অব্যবহিত পরে গুণরাজিও পরলোকে গমন করিলেন । “অপয়া” বলিয়া সেই শিশুকে কেহ স্পর্শ করিল না। দুই দিন দুই রাত্রি সে আঙ্গিনায় ধূলায় লুষ্ঠিত হইয়া কঁাদিতে কঁাদিতে ঘুমাইয়া পড়িল, ঘুম ভাঙ্গিলে পুনরায় ক্ষীণতর স্বরে কঁাদিতে লাগিল। এই আপদকে যে স্পর্শ করিবে—তাহারই অদৃষ্ট ঘোর বিপদ হইবে, এই সংস্কার বশতঃ ভদ্র সমাজের কেহ তাহার ছায়া মাড়াইল না । 86t