পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ौवब-कथं Se/o পল্পী-গীতিকাগুলি লইয়া তিনি “পুরাতনী” নামক সম্প্রতি প্ৰকাশিত পুস্তকে লিখিয়াছেন-ইহাতে বঙ্গীয় প্ৰাচীন মুসলমান মহিলাদের আদর্শ জীবনী লিখিত হইয়াছে এবং এই পুস্তকে যে সকল হিন্দুরমণীর কথা প্রচারিত হইল তাহা পড়িয়া পাঠকগণ দেশের মেয়েদের স্বরূপ উপলব্ধি করিতে পরিবেন। দীনেশবাবুর আর একখানি সুলিখিত বাংলা পুস্তক “পদাবলী মাধুৰ্য্য” এবং বহুপূর্বে লিখিত 'রেখা' নামক একখানি গদ্য গ্রন্থ। দীনেশবাবু যে কত প্ৰবন্ধ সাময়িক, মাসিক ও দৈনিক পত্রিকায় লিখিয়াছিলেন তাহার সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন । যে বৎসর প্ৰিন্স অব ওয়েলস কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ‘‘ডাক্তার অব লিটারেচার ( ডিলিট )” উপাধি গ্ৰহণ করিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্মানিত করেন, সেই বৎসর লর্ড রোণাল্ডসে, সিলভা লেভি, প্ৰভৃতি ৭৮ জন পাশ্চাত্য পণ্ডিতের সঙ্গে তিনজন বাঙ্গালী ডাক্তার অব ফিলজপি ও ডাক্তার অব লিটারেচার উপাধি দ্বারা সম্মানিত হন ;-ব্ৰজেন্দ্ৰ শীল ; অবনীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর ও দীনেশচন্দ্ৰ সেন। দীনেশচন্দ্ৰ ভারতমহামণ্ডলী কর্তৃক “পুরাতত্ত্ব বিশারদ” এবং নবদ্বীপ বিদ্বৎমণ্ডলী কর্তৃক “কবিশেখর” এবং গভৰ্ণমেণ্ট কর্তৃক “রায় বাহাদুর” উপাধি প্ৰাপ্ত হন। যাহারা দীনেশচন্দ্রের সাহিত্যিকগুণে আকৃষ্ট হইয়া তাহার অন্তরঙ্গ বন্ধু ও জীবনের চিরসহায় স্বরূপ হইয়াছিলেন, তন্মধ্যে ষ্টাটুটারী সিভিলিয়ন বরদাচরণ মিত্র, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মারকুইস অফ জোটল্যাণ্ড, ডাঃ জে ডি এণ্ডাসন, সন্তোষের রাজা প্ৰমথনাথ রায় চৌধুরী ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম সর্বােগ্রগণ্য। আচাৰ্য্য দীনেশচন্দ্রের কৰ্ম্ম-শক্তি ছিল অসাধারণ, শেষ বয়সে অতিরিক্ত পরিশ্রমে তিনি ভগ্নস্বাস্থ্য ও কঙ্কালসার, তথাপি রাতদিন তিনি সাহিত্যের জন্য শ্ৰম করিয়াছেন, তাহার লিখিত প্ৰবন্ধ ও পুস্তকে যৌবনোচিত সরসত, ভাবমাধুৰ্য্য ও করুণ রস শেষ পৰ্যন্ত উৎসারিত হইয়াছে, জীর্ণ ও শুষ্ক খৰ্জ্জুর গাছের ন্যায় আসন্ন মৃত্যু সম্মুখে লইয়া প্রতিকুল অবস্থার আঘাত সহ্যু করিয়া তিনি অজস্র রসধারা অক্লান্তভাবে বিতরণ করিয়া গিয়াছেন। এই পুস্তকে যে সকল নারীচরিত্র প্রদত্ত হইল, তাহা