পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VSV বাংলার পুরনারী ঘরে আসিয়া একবার শয্যায় শুইত, তারপর উঠিত ও বসিত ; দরজার কাছে। যাইয়া দূর প্রান্তরের দিকে তাকাইয়া কঙ্কের জন্য অপেক্ষা করিত ; কখন কখন সেই বঁাশীর সুর শুনিয়া মুগ্ধ হইয়া চাহিয়া থাকিত । সারাদিন রৌদ্রের তাপে মুখখানি লাল করিয়া কঙ্ক যখন বাড়ী ফিরিত, তখন এই ভগিনী-তুল্য স্নেহ-প্ৰতিমা কত আদরে তাহাকে তালের পাখা দিয়া বাতাস করিত, কত যত্নে তাহাকে খাইতে দিত এবং যখন সে খাইত, তখন এটুকু খাও, ওটুকু খাও, এই ভাবে আদর করিয়া খাইতে অনুরোধ করিত ! সহসা আষাড়িয়া প্ৰবাহের যেমন জল নামে, তেমনই লীলার দেহে যৌবন আসিয়া পড়িল। দেহে এই অতর্কিত যৌবনের সমাগমে লীলা বিস্মিত হইয়া গেল, দেখিতে দেখিতে চাপা ফুলের বর্ণে দেহখানি যেন উজ্জল হইল। ডালিমের ফুলের মত অধর রঞ্জিত হইয়া উঠিল। শ্রাবণে নদীর জলের মত লীলার রূপ কুলে কুলে ভৰ্ত্তি হইয়া গেল। সে যখন কলসী কক্ষে লইয়া নদীর ঘাটে যায়, তখন সেই অপরূপ রূপের প্রতিমাখানি দেখিবার জন্য সাধুদের নৌকায় লোকের ভিড় হয়।

  • नौद्र क्रिन८द्र ब्रुवा ८ कलौ त्वहे ।

फ्रांझेिल नौद्ध खटल चॅंशिं शिंद्रांझेशा ॥ হেরি সে সুন্দর রূপ চমকে সুন্দরী । শীঘ্ৰগতি ঘরে ফিরে লইয়া গাগরী ।” নিজের কাছে সে নিজে ধরা পড়িল-এই আবিষ্কারে তাহার নিকট জগৎ নূতন রূপ ধারণ করিল। গোষ্ঠ হইতে ফিরিয়া আসিয়া কঙ্ক গৃহের আঙ্গিনায় শুইয়া পড়ে, সুরভি ও পাটালীকে লীলা জল খাওয়ায়, কঙ্কের পার্থে লীলা একখানি তালের পাখা রাখিয়া তাহার আতপক্লিষ্ট মুখখানি দেখিয়া দুঃখ অনুভব করে।