পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vy বাংলার পুৱালারী গলা ! তিনি কঙ্ককে ডাকিয়া আনিয়া তাহার সহিত আলাপ করিলেন, ধৰ্ম্ম বিষয়ক যে সব আলোচনা হইল, পীর দেখিলেন, তরুণ বয়সে সেই সকল বিষয়ে তাহার আশ্চৰ্য্য অধিকার । এই অল্প বয়সে কঙ্ক “মলয়ার বারমাসী” নামক একখানি কাব্য রচনা করিয়াছিল । পীর সেই কাব্যের আবৃত্তি কবির নিজের মুখে শুনিয়া তাহার অসাধারণ কবিত্বশক্তি দর্শনে মুগ্ধ হইয়া পড়িলেন, তিনি দেখিলেন অল্পবয়সে কঙ্ক যে দরদ লইয়া জন্মিয়াছে, তাহা দুর্লভ। কঙ্ক কাব্যগুলি গান করিয়া শুনাইত ও পীর ক্রমাগত চক্ষু মুছিতেন । পীর যেমন কঙ্কের গুণ-মুগ্ধ হইল, কঙ্কও তেমনই তঁাহার অন্তরঙ্গ ভক্ত হইয়া দাড়াইল । কঙ্ক জাতি বিচার রাখিল না, ভক্তি-ভরে পীরের পায়ে মাথা লুটাইয়া প্ৰণাম করিত। তাহা ছাড়া পীরের উচ্ছিষ্ট খাদ্য অমৃত জ্ঞানে প্ৰসাদ বলিয়া খাইত। পীরের নিকট কঙ্ক মুখে মুখে কলম শিখিল এবং তঁাহার উপদেশ বেদের মত জ্ঞান করিয়া হৃদয়ের সমস্ত শ্ৰদ্ধা দ্বারা তাহা মনে গাথিয়া রাখিত । কিন্তু সে অতি গোপনে ফকিরের কাছে যাতায়াত করিত, গৰ্গ এই বিষয়ের বিন্দুমাত্রও खांनिcऊन न । পীর কঙ্কের অদ্ভুত কবিত্ব শক্তি দেখিয়া তাহাকে একখানি সত্যপীরের পাঁচালী লিখিতে আদেশ করিলেন । আদেশ প্ৰদানের অব্যবহিত পরেই তিনি বিপ্ৰপুর গ্রাম ত্যাগ করিয়া কোন দূর দেশে প্ৰস্থান করিলেন । সত্যপীরের পাঁচালী কঙ্ক গুরুর আদেশ শিরোধাৰ্য্য করিয়া সত্যপীরের কাব্য লিখিয়া কেলিল সেই অঞ্চলে এই পাঁচালীখ্যানির খুব আদর হইল ।