পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डीज NKAYA ঠাকুরের মন্দিরের কাছে গো হত্যা হইল! কি সর্বনাশ৷ ” কঙ্ক দেখিল সুরভির বৎস পাটলি ঘুরিয়া ঘুরিয়া মৃত মায়ের শবের কাছে যাইতেছেসেই করুণ দৃশ্য দেখিয়া সে সেখানে তিষ্ঠিতে পারিল না। লীলা আৰ্ত্তনাদ করিয়া কঁাদিতে লাগিল। রান্না ঘরে যাইয়া সে ভূমিতে আঁচল পাতিয়া শয়ন করিল। আড়াই প্ৰহর রাত্ৰি পৰ্য্যন্ত কঙ্ক বাহিরের ঘরে বসিয়াছিল, তারপরে উঠিয়া গিয়া একটা নিমগাছের নীচে ঘুমাইয়া পড়িল। তাহার ঘুম হইল না, তন্দ্ৰায় দেখিতে পাইল, চার দিকে ভয়াল মূৰ্ত্তি প্রেতের দল ঘুরিতেছে। তাহারা ছায়ার ন্যায় আসিয়া কঙ্ককে ধরিয়া চিতার আগুনে দগ্ধ করিতে লাগিল। কঙ্ক যন্ত্রণায় চিৎকার করিতে লাগিল, “কে আছ আমায় পরিত্রাণ दफद्र ।।” সেই বিপদের মুহুর্তে সে স্পষ্ট দেখিল,--ইহা ঘুমের স্বপ্ন নহে, তন্দ্রার আবেশ নহে, আরক্ত গৌরবর্ণ এক যুবক তাহার শীতল করপদ্ম দ্বারা তাহাকে সেই চিতা হইতে উদ্ধার করিলেন এবং বলিলেন “আয়, আমার কাছে আয়, যদি জুড়াবি। তবে আমার কাছে আয় ।” কঙ্ক চাহিয়া আর দেখিল না, বুঝিল সেস্থান পদ্মগন্ধময়, গৌরাঙ্গ অদৃশ্য হইয়াছেন, কিন্তু তাহার গায়ের পদ্মগন্ধ সেখানে ফেলিয়া গিয়াছেন । ‘ब्रख 6शोब्र उछ ऊँाब्र काश्cनद्र कांग्रा। रू९४न्न शंशे८ऊ क८क क्लि वैbछे ॥ স্বপনে আদেশ তার পাইয়া কঙ্কধর । প্ৰভাতে গৌরাঙ্গ বলি ত্যজিলেক ঘর ॥” প্ৰত্যুষে কোকিল ও কাকের রবে মুখরিত বিপ্ৰপুর-পল্লীর ছায়া-শীতল নিবিড় তরুতলে কঙ্ককে আর কেহ দেখিতে পাইল না। প্ৰাতে আলুলায়িতকেশা, অসম্বতি-বসনা লীলা হঠাৎ উঠিয়াই কঙ্কের ঘরে গমন করিল-শূন্য শয্যা, কঙ্ক নাই। তারপরে গোয়াল ঘরে যাইয়া শুনিল, পাটলির হাম্বারব থামে নাই। সারারাত্রি সে অবিরাম চিৎকার করিয়াছে, কঙ্ক সেখানে নাই ।