পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Oay\ חשוגס না—সহোদরের মত ছিল। তোমরা তাহাকে খুজিয়া আন ; তোমরা তাহার দেখা পাইলে বলিও-আমার মাথার দিব্য সে যেন ফিরিয়া আসে, তাহার হাত ধরিয়া তাহাকে সাধিয়া আনিও ; পাটলিকে তৃণ জল দিবার কেহ নাই। হীরামণ পাখী কঙ্ক কঙ্ক বলিয়া ডাকিয়া ক্ষান্ত হইয়া গিয়াছে ; সে আর কিছু আহার করে না । কঙ্কের দেখা পাইলে বলিও-তাহার উপর আমার আর কোন সন্দেহ নাই। সে যেন আমাকে ক্ষমা করিয়া আশ্রমে আসে, সে ছাড়া আশ্রম শূন্য হইয়া গিয়াছে-আমি চতুর্দিক অন্ধকার দেখিতেছি। আমি এই ঠাকুর ঘরে ‘তার প্রতীক্ষায় রহিলাম, যতদিন সে ফিরিয়া না আসে ততদিন অন্ন জল না খাইয়া শুকাইয়া থাকিব । সে না আসিলে এই আসনেই আমি প্ৰাণ দিব ।” “আর যদি দেখা পাও কইও করে ধরি। অপরাধ করিয়াছি, ক্ষমা ভিক্ষা করি ॥” লীলা, বিচিত্র ও মাধবের কঙ্কের উদ্দেশ্যে বিদেশে যাত্রার কথা শুনিল । — সে ঘরে ঢুকিয়া আঁচল পাতিয়া শয্যা তৈরী করিল ও অনাহারে অনিদ্রায় দিন রাত্রি যাপন করিতে লাগিল । সে আর “কাহাকে কি বলিবে ! আকাশের সূৰ্য্য ও চন্দ্রকে সে নিজ মনােবেদনা জানাইল। “পৃথিবীর সর্বস্থান তোমাদের বিদিত, জগতের এমন কোন আঁধার কোণ নাই যেখানে তোমাদের আলোক রশ্মি প্ৰবেশ না করে, তোমরা নিশ্চয়ই কঙ্কের সন্ধান ख्रांन, “নাগাল পাইলে তারে আমার কথা কইও । ख्ञ८८क निश्छे *९ ८८८ऊ ऊधांन्नि& ॥” নৌকাগুলি পালের জোরে তরঙ্গ ভেদ করিয়া চলিয়াছে-লীলা তাঙ্গাদিগকে বলিল, “তোমাদের গতিবিধি সর্বত্ৰ, তোমরা যদি কঙ্কের সন্ধান পাও, তবে তাহাকে ধরিয়া আনিও ।” এই ভাবে লীলা, নক্ষত্র, তারা, চন্দ্ৰ, সূৰ্য্য, প্ৰভাতী বায়ু, উষা, নবমুঞ্জরিত লতা, পুষ্প-বিতান, ফল ফুলে ভার নত ডাল, নানা বর্ণের নানা পাখী,