পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ve বাংলার পুরুমারী বিশ্বের যাহাকে দেখিতে পায়-বিমনা হইয়া তাহাকেই কঙ্কের সন্ধান জিজ্ঞাসা করে। প্ৰকৃতির সঙ্গে ব্যথিত মনের এই নিবিড় সম্পর্ক ঋতুভেদে বিচ্ছেদ কাতর মনের ক্ষোভ, আশা ও আশা-ভঙ্গ পৃথিবীতে চিরকাল চলিয়া আসিয়াছে। এই নারীর হৃদয়ের দুঃখ মুখ ফুটিয়া বলিবার সুযোগ নাই । এইজন্য প্ৰকৃতির সঙ্গে তাহার সম্বন্ধ ঘনিষ্টতর ও নিবিড়তরা। কবি যত কিছু বারমাসীতে লিখেন, তাহা তঁহার কল্পনা নহে ; গাঢ় অনুভূতি ও নিষ্কাম নিঃস্বাৰ্থ প্রেমে তাহার মন “পততি পত্রে, বিচলিত পত্ৰে”-প্ৰিয়ের পাদক্ষেপের পরিকল্পনা মনে জাগাইয়া QV5 এইভাবে শৈশবের সঙ্গী, কৈশোরের সখ্যা-যৌবনের প্ৰিয় কঙ্কের জন্য লীলার মনে হাহাকার ধ্বনি উঠিল। তাহার আহার নিদ্ৰা চলিয়া গেল। যে দিকে চায়-যাহাকে দেখে,-আমনই তাহার চক্ষু অশ্রুতে ভিজিয়া উঠে। গায়ত্রীর মৃত্যুর পর সমস্ত সহোদরের স্নেহ কঙ্ক তাহাকে দিয়াছিল, শত শত ক্ষুদ্র ঘটনায়-কঙ্কের সরল মধুর ব্যবহারে তাহার মন কঙ্কময় হইয়া গিয়াছিল। তাহারই জন্য মিথ্যা কলঙ্কের ভাজন হইয়া পিতার ক্রোধের পাত্ৰ হইয়া নির্দোষ, নিরপরাধ কঙ্ক কত কষ্ট পাইয়াছে ! আজি প্ৰতি ক্ষুদ্র কথা মনে পড়িয়া তাহার হৃদয় বিদীর্ণ হইতে লাগিল । সে শুকাইয়া কাঠ হইয়া গিয়াছে। তাহার সে বিদ্যুতের মত রূপের জ্যোতি আর নাই। সে দিন-রাত্ৰি আঁচল পাতিয়া বাম বাহু শিথান করিয়া চক্ষের জলে ভাসে এবং সম্মুখে মৃত্যুর ছায়া দেখিয়া শিহরিয়া উঠে। ফাস্তুন মাসে গাছের ডাল ভরিয়া লাল ফুল ফুটিল, কঙ্ক যে মালতীলতা পুতিয়া গিয়াছিল, এইবার তাহার ডালে প্ৰথম ফুল ফুটিয়াছে, কঙ্ক থাকিলে আজ সে একটা উৎসব করিত। ভ্ৰমরগুলি সেই ফুলের কাছে আসিলে औब्ना कछि८\ङ शंटक “কৈও কৈও কঙ্কের কাছে শুন অলিকুল। মালতীর গাছে তার ফুটিয়াছে ফুল ৷”