পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীলা Nevo চৈত্র মাসে বাগান ভরিয়া প্ৰস্ফুট ফুলের বাহার-লীলা সেই ফুল লক্ষ্য করিয়া “মালঞ্চে ফুটিয়া ফুল হৈয়া গেল বাসি।” বলিয়া আক্ষেপ করে। खाया जश्वीन्म ছয় মাস পরে বিচিত্র ও মাধব ব্যর্থ-মনোরথ হইয়া আশ্রমে ফিরিয়া আসিল । কঙ্ককে কোথাও পাওয়া যায় নাই । লীলার অবস্থা দেখিয়া তাহারা শঙ্কিত হইয়া বলিল, “শুন৷ ভগিনী লীলা, আমরা কঙ্কের জন্য চেষ্টার ত্রুটি করি নাই। বৃহৎ বনস্পতি-সন্ধুল, লতাজাল-আবদ্ধ গারো প্রদেশের যেস্থান সিংহ ব্যাস্ত্ৰ ও ভালুকের লীলাভূমি সেই ঘোর অরণ্যানিতে আমরা প্ৰাণের আশা ত্যাগ করিয়া কঙ্ককে খুজিয়াছি। পূর্বদিকে শ্ৰীহট্ট অঞ্চল—খরস্রোতা সুরমা নদী ও পাৰ্ব্বত্য-পথ অতিক্ৰম করিয়া কামরূপে যাইয়া কামাখ্যা দেবীর দর্শন করিলাম-তন্ন তন্ন করিয়া সন্ধান করিলাম, কোথাও কঙ্ক নাই। পশ্চিম দিকে কাশী বৃন্দাবন ঘুরিয়া নবদ্বীপ হইয়া ফিরিয়া আসিয়াছি, কাহারও কাছে কঙ্কের কোন সংবাদ পাই নাই।” “শৈশব সুহৃদ মোদের প্রাণের বন্ধু ভাই । প্ৰাণ দিতে পারি। যদি তারে খুঁজে পাই । কত যে খুজিানু তারে নাহি লেখা জোখা । নিখোঁজ হইল বুঝি, না পাইলাম দেখা ৷” গৰ্গ স্তব্ধ হইয়া রহিলেন, পরে চিৎকার করিয়া কঁাদিয়া উঠিয়া দুইজনের হাত ধরিয়া বলিলেন :-