পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NOAV বাংলার পুৱালারী বা আমি কি বলিয়া দেখা করিব ! কত কষ্টে কত জায়গা অন্বেষণ করিয়াছি, কেহই কঙ্কের সন্ধান দিতে পারিল না।” লীলা জিজ্ঞাসা করিল, “ভাই বল তো তুমি কঙ্কের সম্বন্ধে কোন কথা ७निशाछ कि " দ্বিধাভাবে মাধব আস্তে আস্তে বলিল,-“প্রবল গুজব যে কঙ্ক গৌরাঙ্গের দর্শনাভিলাষী হইয়া চলিয়া গিয়াছিল, ঝড়ের মুখে তরণী ডুবিয়া যায়-জলে পড়িয়া কঙ্ক মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছে।” “জনরব এই মাত্র লোক মুখে শুনি। জলেতে ডুবিয়া কঙ্ক ত্যজিয়াছে প্ৰাণী। दिशांश ठझेया कक्ष ख्षांभांव्र ट्रॉन । সংসার ত্যজিয়া যায়- গৌর অন্বেষণে ॥ उ८द्म *व् नौ श्रुद्र ८द्र च । অকস্মাৎ কাল মেঘ গগনে উদয় । ঝড় তুফানেতে ডুবে সাধুর তরণী । জলোতে ডুবিয়া কঙ্ক ত্যজিছে পরাণী ॥” “প্ৰাণের অধিক,-সহোদরের অধিক,-ভাই আমার জলে ডুবিয়া মরিল ; একবার মৃত্যুকালে তাহাকে দেখিলাম না ! জীবন ভরিয়া কত দুঃখ পাইলে ; কোন দুঃখে তোমার চিত্ত দমাইতে পারে নাই, অবশেষে মিথ্যা কলঙ্কে জর্জরিত হইয়া পিতার স্নেহে বঞ্চিত হইয়া বিদেশে বেভূঞে তুমি সলিল-সমাধি লাভ করিলে, এমন সোণার ভাই হারা হইয়া আমি কোন সাধে বাচিব ।” সেই দিন হইতে লীলার আহার নিদ্রা সমস্তই গেল। হেমন্তের নীহারে যেরূপ পদ্মবন শুকাইয়া যায়, লীলার শরীরের যৌবন-সুষমা সেইরূপ লুপ্ত হইল। যে কেশ গঙ্গার তরঙ্গ ভঙ্গে পৃষ্ঠের উপর দুলিয়া দুলিয়া শোভা পাইত, তাহা ছিন্ন ভিন্ন পাটের আঁশের মত হইয়া গেল। তাহার যে নধর কান্তি পদ্মলতার পেলাব মত ছিল, তাহা ইক্ষুর পাতার মত বিশীর্ণ ও শুষ্ক হইল। এইভাবেলীলা একদিন চিরকালের জন্য পৃথিবী হইতে বিদায় হইল। গর্গের আশ্রমে তাহার সুমিষ্ট কলরব আর শোনা গেল না।