পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ver বাংলার পুরনারী আগুন জালিয়া মোর পোড়াও গৃহ বাসা । আজি হ’তে সাঙ্গ মোর সংসারের আশা । LBDDEE LLDDDS DE EB D S ভাটিয়ালে কঁদে নদী না বহে উজানে ॥ গর্গের কঁাদনে দেখা পাথর হয়। জল । বনের পাখী ডালে বসি ফেলে অশ্রািজল । অনলে তাপিত হৃদি করিতে শীতল। কঙ্কের সহিত মুনি যায় নীলাচল । সঙ্গে চলে অনুগত শিষ্য পঞ্চজন । সংসার তেয়াগি গেল জন্মের মতন ৷” আলোচনা এই কঙ্ক ও লীলার পালাটি ঐতিহাসিক । লীলার ভালবাসা ও কঙ্কের জন্য তাহাব ব্যাকুলতায় কবি-কল্পনার ছটা পড়িয়াছে। কিন্তু বাকী সকল অংশই ইতিহাস-তথ্যমূলক। কঙ্কের নিবাস ময়মনসিংহ জেলায় নেত্রকোণা সাব-ডিভিসনের মধ্যে কেন্দুয়া থানার অন্তর্গত বিপ্ৰপুর গ্রাম। র্তাহার পিতা গুণরাজ ও মাতা বসুমতী অতি দরিদ্র ছিলেন। কঙ্ক শৈশবে বিপ্ৰবৰ্গ বা বিপ্ৰপুর গ্রামে পণ্ডিতপ্ৰবর গর্গের বাড়ীতে থাকিয়া লেখাপড়া শিখিয়াছিলেন। এই গ্রাম রাজেশ্বরী বা রাজী নদীর তীরে অবস্থিত। যেখানে পীর আসিয়া আস্তান স্থাপন করিয়াছিলেন, সেখানে এখনও একখানি পাথর আছে, লোকে তাহা “পীরের পাথর” নামে অভিহিত করে। হিন্দু মুসলমান সকলেই সেই স্থানটিকে তীর্থের মত শ্ৰদ্ধা করে। কঙ্ক যেমন রূপবান তেমনই গুণশালী ছিলেন। তঁহার কবিত্ব প্ৰতিভাও শীজ শীঘ্ৰ পল্পী সমাজে প্রচার হইয়া পড়িয়াছিল। তৎকৃত মলয়ার বারমাসী তাহার কিশোর বয়সের রচনা। সেই ত্রয়োদশ চতুর্দশ বৎসরের