পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীলা VSyr") বিদায় কালে তঁাহার উক্তি কি মৰ্ম্মস্পশী,-গৌরাঙ্গকে স্বপ্ন দেখার কথাটা কবি চারটি ছত্রের মধ্যে কি আন্তরিকতা ও ভক্তি দিয়া দেখাইয়াছেন। দুটি ছত্রে অপরূপ রূপলাবণ্য ও স্বৰ্গীয় জ্যোতি লইয়া গৌরাঙ্গ যেন ফুটিয়া উঠিয়াছেন ! লীলার চরিত্র অনন্ত মধুর। লীলা ও কঙ্ক শৈশবের সঙ্গী, উভয়ে মাতৃহারা ও পরস্পরের সান্থন-দায়ী ও অনন্য-শরণ-এ যেন একটি বৃন্তের দুইটি ফুল। লীলার হৃদয় সুকোমল ভাবে পূর্ণ কঙ্ক তাহার সহোদর না হইয়াও সহােদর প্রতিম। লীলা তিলমাত্র কঙ্কের সঙ্গ বিচুত হইলে ছট্‌ফট্‌ করিতে থাকে। তিনি গোষ্ঠে যাইলে সন্ধ্যার প্রাক্কালে সে পথে যাইয়া দাড়াইয়া থাকে ও র্তাহার প্রতীক্ষা করে । কঙ্ক বঁাশী বাজাইতে বাজাইতে গাভী ও তাহার বৎসটি লইয়া যখন বাড়ী ফিরিতে থাকেন, সেই বঁাশীর সুর cभांना भांड उभांनप्न् ब्ौला फ्र3ल श्शेशा ७८ठं । কিন্তু যখন সে দেখিল, পল্লীবাসীরা তাহাকে ও কঙ্ককে লইয়া মিথ্যা অপরাধের চেষ্টা করিয়া ষড়যন্ত্র করিতেছে তখন তাহার কঙ্কের প্রতি অনুরাগ আরও বাড়িয়া গেল। সে জানিত, কঙ্ক ও সে নন্দন বনের দুইটি ফুলের কুঁড়ির ন্যায় নিৰ্ম্মল, পরস্পরের প্রতি তাহাদের অনুরাগ অকৃত্রিম, তাহা সুচির সাহচৰ্য্য ও সহানুভূতির উপর প্রতিষ্ঠিত—”eাহা দেব মন্দিরের পূজার ফুলের ন্যায়। ভগবানে সমৰ্পিত, অথচ তাহাই লইয়া কত বিশ্রি আলোচনা চলিতেছে, এমন কি তাহার ঋষিতুল্য জনকও জন-অপবাদের জালে পড়িয়া কঙ্ককে বিষ খাওয়াইয়া মারিতে চেষ্টা করিতেছেন—তখন তাহার নিজের এই নিরাশ্রয় ও অসহ্যু দুৰ্দশায় ও কঙ্কের জীবনের আশঙ্কায়-সে। একেবারে উন্মত্ত হইয়া গেল। এই সৌভ্রাত্ৰ, কবিদের হস্তে পড়িয়া কতকটা প্রেমের ছন্দ ও ভাষা অবলম্বন করিয়াছে, তাহা কোন দোষের না হইলেও সেই অনুরাগের কিছুটা বাড়াবাড়ি আছে, কবিরা তাহাতে পুর্বরাগের ছন্দ দিয়াছেন। বাঙ্গালী কবি বসন্তকালে কোকিলের কুহু ও বর্ষায় কেতকী। কদম্বের সুস্ৰাণ এবং গ্রীষ্মে মলয় সমীরের সুখ স্পর্শ পাইলে তাহার মাত্রা ঠিক রাখা একটু কঠিন হইয়া পড়ে। এই জন্য লীলার বারমাসী ও বিরহে কতকটা বৈষ্ণব পদের তরল মোহ আসিয়া পড়িয়াছে কিন্তু আমরা পূর্বেই