পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>slgi>ा न्डsiन्= প্রেম নিবেদন, উত্তর-প্রত্যুত্তর সানবাধা ঘাটে ডোমের ষোড়শী কন্যা রোজ কলসী ভরিয়া জল আনিতে যায়, তাহার বক্রান্ত সুদীর্ঘ কেশ ও লাবণ্যময় গঠন ও অপসরার মত সুন্দর মূৰ্ত্তি দেখিয়া রাজ্যের লোক পাগল হইয়া যায়! : সে দেশের তরুণ বয়স্ক রাজকুমার শ্যাম রায় তাহার রংমহাল হইতে প্ৰত্যহ এই সুন্দরীকে দেখিতে পায়-দেখিয়া চক্ষুর তৃপ্তি হয় না, সে রোজ এই নারীর রূপমাধুরী পান করে। অবশেষে সে ডোম-নারীকে সংবাদ পাঠাইল, “তুমি কি আমাকে ভালবাসিয়া আত্ম সমৰ্পণ করিবে ? তাহা হইলে সমাজ-বিধি যাহাঁই থাকুক না কেন, আমি তোমায় বিবাহ করিয়া তোমার মাথার কেঁকড়ান কেঁকড়ান চুর্ণকুন্তল সোনার ঝুরি দিয়া বাধিয়া দিতাম। হাতীর দাতের শীতলপাটী সোনার পালঙ্কের উপর পাতিয়া তোমার সুখ-শয্যা তৈরি করিয়া দিতাম, ঐ পাটের খুঞা ফেলিয়া দিয়া দিব্য নীলাম্বরী শাড়ী তোমায় পরিতে দিতাম এবং কঁাচপোকার মালার পরিবৰ্ত্তে গজমুক্তার হারে তোমার কণ্ঠ পরিশোভিত করিতাম। তোমার হাতে বাজুবন্ধ এবং গলায় সোনার মাদুলি দিয়া তোমাকে একখানি প্ৰতিমার মত সাজাইতাম এবং নিজ হাতে তোমার ঐ দুটি পাগল-করা চোখে কাজল পরাইয়া দিতাম ও সারারাত্রি ঘিয়ের বাতি জ্বালাইয়া তোমার চন্দ্ৰ-মুখখানি দেখিতাম। তুমি যদি আমাকে ভালবাসিতে, তবে আমার সুখের অবধি থাকিত না ।” দৃতির নিকট ডোমের মেয়ে বলিয়া পাঠাইল, “কি করিয়া ভঁাহার সঙ্গে আমার দেখা হইবে ! দিনরাত শাশুড়ী আমার পাহারা দিতেছেন । সন্ধ্যাবেলা ঘরে আলো থাকে না, পশরা লইয়া স্বামী কখন ঘরে ফিরেন তাহার কোন নির্দিষ্ট সময় নাই, ভাদ্র মাসে বাড়ীর অতি নিকটে বর্ষার গাঙ্গের জল থৈ থৈ করিতেছে। আমার অদৃষ্ট সুখের নদীতে চড়া পড়িয়াছে। আমি