পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SeO বাংলার পুরনারী নীরবে শুনিতেছিলেন এবং সভাগৃহের অন্য কোণে অবস্থিত তাহার স্বামী সুচ রাজার প্রতি কি অসীম প্রেমে ঘন ঘন দৃষ্টিপাত করিতেছিলেন। সুতরাং একটা অবাস্তব কথা-জীবনের কতগুলি মহাসত্যকে কিরূপভাবে উজ্জল করিয়া দেখাইয়াছে, তাহা শেষ পৰ্য্যন্ত পড়িলে পাঠক বুঝিতে পরিবেন । কাজল-রেখার চিত্রাঙ্কন, রন্ধন-ক্ষমতা, র্তাহার সুডৌল সৌম্য-সুন্দর মূৰ্ত্তিীতে রাজ্ঞী-জনোচিত মহিমা, তীক্ষ বুদ্ধি, অপার ক্ষমা, এই সকল স্বৰ্গীয় গুণরাশির নন্দনবনের ফুল দিয়া কবি আমাদিগকে যে উপহার দিয়াছেন, সেরূপ একখানি চিত্র আধুনিক কেহ দিতে পারিবেন না-যেহেতু সে পুরাতন আবেষ্টনী এখন আর নাই-এখন ক্ষমাগুণ ও সহিষ্ণুতা এ যুগে তাহদের মূল্য হারাইয়াছে। তিলকবসন্তের চিত্রে ও রাণী সুলার চিত্রে এইরূপ অবাস্তবের মধ্যে বাস্তব রস উদ্রেকের সুযোগ দিয়াছে। সুলার প্ৰেম স্বৰ্গীয় পারিজাত-কুসুম-কাঠুরিয়া ও কাঠুরাণীরা যখন তাহার দুর্দশা দেখিয়া অশ্রুভারাক্রান্ত কণ্ঠে তাহাকে সাস্তুনা দিতেছে—তখন রাণী কঁাদিতে কঁাদিতে বলিতেছেন, আমার নিজের দেহের সুখ-দুঃখ-বোধ কিছুমাত্র নাই, তোমরা আমার মাংস কাটিয়া ছিড়িয়া ফেল তাহাতে আমি দুঃখ বোধ করিব না, কিন্তু যিনি রাজ্যেশ্বর, যাহার মাথায় সোনার ছত্র ছিল, শত শত কিঙ্কর র্যাহার সেবায় ব্যস্ত থাকিত, সেই মহারাজ আজ তিন দিন তিন রাত্র ভোলানাথের মত ক্ষুধার জ্বালায় বনে বনে বেড়াইতেছেন, আমি তাঁহাকে খাইবার জন্য একট, কিছু দিতে পারি নাই, এ কষ্ট যে অসহা! কি সুন্দর এই গল্পে কাঠরিয়া কাঠুরাণীরদের ছবি ! তাহার কেহ গাছের পাতার টােপায় তঁহাকে জল দিতেছে ; কেহ মধুর চাক ভাঙ্গিয়া রাণীকে রস খাওয়াইতেছে, কেহ ব্যজনী হস্তে বাতাস করিতেছে, কেহ বা হায় হায় করিয়া কঁাদিতেছে। তারপর কাঠুরিয়ারা সকলে মিলিয়া কি BDBDB DD S S D S SSD SDDDSDBS C KBD BBD L L DB छछ श्रृंछ निनांभ कब्रिशा मिल !