পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Stoyo বাংলার পুরনারী সোংসার = সংসার গোণিক = গণক 6ङब्ग = ख्व्ग এই সকল কথার সবগুলিই পূর্ববঙ্গে ‘ও’ কার সংযোগে কথায় ব্যবহার হয় ; পশ্চিমবঙ্গেও কতকগুলি মুখে ও-কার দিয়া কথায় বলা হয়-কিন্তু লিখিবার সময় “মোন’ কে মন, “মোন্দ’ কে “মন্দ’, ‘যোম” কে “যম’ লিখিত হয়। নিম্নশ্রেণীর পূর্ববঙ্গের লোকেরা ‘হ’-কার প্রায় ব্যবহার করে না। (যথা-অইয়া = হইয়া, এন = হেন, ইন্দু = হিন্দু, হয়ার = ইহার, ) এবং কোন কোন স্থানে ‘সি’ অনেক সময়ই “হ’-তে পরিণত হয়। স্ত্রীর ভ্রাতাকে সে দেশে ‘শ’। কার দিয়া কথা বলে না। তৎস্থলে। ‘হ’ কার উচ্চারণ করে। তাহা ছাড়া হাজি = সাজি, হাজ = সাজ, হাত = সাত প্রভূতির বহুল প্ৰয়োগ আছে। পুর্ব দেশে বিশেষ মৈমনসিংহ চট্টগ্রাম প্ৰভৃতি প্রদেশে ‘ও’ কারের স্থানে ‘উ: কার ব্যবহৃত হয়। যথা, “ভুল = ডোল, কুণা = কোনা, ভুলা = ভোলা, ওষ ( হিস)=উষ, ছোট = ছুটি । অনেক স্থলে ‘টি’ স্থানে ‘ডি’ ব্যবহৃত হয়, যথা ছুড় = ছোট । অনেক সময় ‘ও’ কার দেওয়ার জন্য কবিতার চরণের মিল হয় নাই বলিয়া ভ্ৰম হইতে পারে- কিন্তু বাস্তবিক কবির শ্রুতির কোন ক্রটির জন্য তাহা হয় নাই। যেমন ‘চুলা’ শব্দের সঙ্গে ‘ঢোল’ মিল পড়ে না। কিন্তু পূর্ববঙ্গের মৈমনসিংহ, শ্ৰীহট্ট প্রভৃতি স্থানে উচ্চারণ ঢোল নহে, ঢুল', সুতরাং লিখিতে যাইয়া আধুনিক রীতিতে ঢোল লিখিলে ও উচ্চারণ কালে ‘চুল বলিলে এই বৈষম্য ঘটিয়া থাকে। কথায় কথায় নিরক্ষর কবিরা মিল দিতেন, লেখা জিনিষটা তাহদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিত না, তাই যখন ‘চুলা’ এর সঙ্গে ঢুলে’র মিল দিয়া যাইতেন, তখন তাহাতে কোন অসঙ্গতি হইত না। এই ভাবে কুণ ( কোণ) শব্দের সঙ্গে চুন’ মিল পড়িত। এরূপ দৃষ্টান্ত অনেক আছে। বৈষ্ণব কবিতার সঙ্গে এই পল্পী-গীতিকার অনেক সাদৃশ্য আছে, কিন্তু তাহা সাদৃশ্য মাত্র। যাহারা বৈষ্ণব-কবিতা ও পল্পী-গীতিকা খুব সূক্ষ্মভাবে আলোচনা করিবেন, তাহারা দেখিবেন ইহারা দুই পৃথক বস্তু। বৈষ্ণব