পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাণী কমলা ܠ রাণীকে হারাইয়া রাজা একেবারে বাউল হইলেন ; ক্ষুধা-তৃষ্ণা নাই, চুলগুলি উদ্ধ-শুষ্ক, রাজা রাতদিন সেই অলক্ষণা পুকুরের চার পার্শ্বে ঘুরিয়া বেড়ান, একটি বুদ্বুদ দেখিলে স্থির দৃষ্টি চাহিয়া থাকেন, ভাবেন কে যেন আসিতেছে। পাত্ৰ মিত্ৰগণ রাজাকে কত প্ৰবোধ দেয়, কিন্তু তাহাদের DB DL DY0 D DD 0SYS “পাত্ৰ মিত্ৰগণ যত রাজারে বুঝায়। LLBD D DLD DDDS BDBBBL DDD DDD SS পুষ্প ছিড়িয়া ফেলিলে বেঁটাটা যেমন শোভাশুন্য হইয়া গাছের উপর দাড়াইয়া থাকে, রাজলক্ষীকে হারাইয়া রাজা তেমনই শ্ৰীহীন হইলেন । “রাজ্য-ঐশ্বৰ্য্য দিয়া আমি কি করিব, আমার সাতরাজার ধন এক মাণিক কোথায় গেল ! কার রাজ্য ? আমার এত সাধের জলটুঙ্গীঘর, কার জন্য ? আমার মলয় বাতাস, চন্দ্রের জ্যোৎস্না, কার জন্য আমার চন্দ্ৰিকা-ধবল বার-বাঙ্গলার ঘর ? কার জন্য আমার আকাশ-ছোয়া যোড়-মন্দির।” রাজা বলিলেন—“আমার রাণীকে আনির দাও, নতুবা আমার জীবন যায় ।” পাঁচ কাহিন মজুর সেঁচন যন্ত্ৰ দিয়া দীঘির জল তুলিয়া ফেলিতে নিযুক্ত হইল। সমুদ্র মন্থন করিয়া যেরূপ দেবতারা লক্ষ্মীকে তুলিয়াছিলেন,-দীঘির জল সেঁচিয়া ফেলিয়া রাজা তঁহার অন্তঃপুর লক্ষ্মীকে তুলিবেন -এই সঙ্কল্প। মজুরেরা নয়টি রাত্রি নয়টি দিন সেই দীঘির জল তুলিয়া ফেলিতে লাগিল, কিন্তু যেমন জল-তেমনই রহিল, জল এক চুলও কমিল না। ;- ‘ब्रांऊ नई नि नांछे निश्न ौिचिद्ध श्रांनि ॥ সিচনে না কমে জল গো, চুল পরমাণি।” পরন্তু সেই সেঁচা জল সোমাই নদীর বালুর চর পরিপ্লাবিত করিয়া ফেলিল। প্ৰলয়কালের শিবের শিঙ্গার মত গর্জন করিয়া সেই বিপুল জলরাশি আকাশে উঠিল, জলস্থল একাকার করিয়া ফেলিল, কুটির ঘর, বাগবাগিচা ডুবিয়া গেল। জল গাছের আগা পৰ্য্যন্ত ডুবাইয়া ফেলিল।