পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So বাংলার পুরনারী ‘डां िछिल cनाभाई नौ ठेखांन दश् िशांघ्र । পানির ফেনা উঠল গিয়া গাছের ডগায় ॥” রাজার চক্ষে ঘুম নাই-তথাপি এক রাতে বার-বাঙ্গলা ঘরে তিনি চােখ বুজিয়া শুইয়া আছেন—এমন সময় আবার একটা অলৌকিক স্বপ্ন দেখিলেন :- রাণী আসিয়া শিয়রে বসিয়া তঁহার দেহে হাত দিলেন, রাজার সর্বাঙ্গ জুড়াইয়া গেল, রাণীর কণ্ঠস্বর শুনিলেন, সেই মিষ্টস্বরে কাণ ভরিয়া গেল । তখন মেঘরাশি উতলা হইয়া কি হারাইয়া ঘন ঘন গর্জন করিতেছে, রিমি ঝিমি শব্দে বৃষ্টি পড়িতেছে। ভেক কুলের সমবেত সুরে যেন ঘুমের নেশা চোখে আসিতেছে। রাণীর সম্পর্শে রাজার কাছে শত শত স্বর্গের দরজা খুলিয়া গেল, তাহার শরীরে ঘন ঘন রোমাঞ্চ হইতে লাগিল। রাণী বলিলেন :- “রাজা-তোমাকে ছাড়িয়া আমি থাকিতে পারিতেছি না, আমার মন দিন-রাত্ৰি হু হু করিয়া কঁাদিতেছে ; এমন ভোলা মহেশ্বর যাহার স্বামী, সেই হতভাগিনী স্বামীহারা হইয়া কিরূপে থাকিবে ? আমার ছেলের শোকে বুক বিদীর্ণ হইয়া যাইতেছে, আমার কত জন্মের তপস্যার ফল ঐ শিশু । নারীর স্বামীপুত্র ছাড়া আর কোন সম্পদ আছে—সেই স্বামী পুত্র হারা হইয়া আমি যে ভাবে আছি তাহা তোমাকে কেমন করিয়া বুঝাইব ? “আমার কথায় আর একটী কাজ কর, দীঘিটার পাড়ে একখানি বাঙ্গলা ঘর শীঘ্ৰ তৈরী করা। সন্ধ্যাকালে প্ৰতিদিন আমার বাপের বাড়ীয় সুয়া-দাসীর কোলে ছেলেকে দিয়া সেই ঘরে পাঠাইয়া দিও। আমি দুপুর রাতে সেই ঘরে যাইয়া আমার যাদুকে দুধ খাওয়াইয়া আসিব । “একথা যেন একটা কীট কি পতঙ্গও জানিতে না পারে, গোপন রাখিও। “এই এক বছর যদি করে দুগ্ধ পান । তবে তো হইবে ছেলে ইন্দ্রের সমান।” “এই একটি বছর বুক বাধিয়া থাক, শোক ক’র না, এক বছর পরে আমাদের মিলন হইবে ।