পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাণী কমলা SS রাজা দেখিলেন-রাণী ঠিক তেমনই আছেন, নানা বেশ ও আভরণ পরিয়া রাণী কখনও বেশভুষার দিকে ভ্ৰক্ষেপ করিতেন না, এখনও সেই এলোমেলে। অসম্বত বেশ। সেই সোণার মত-চাপাফুলের মত বৰ্ণ তেমনই আছে, পরণে সেইরূপ অগ্নিপাটের শাড়ী ৷ পাটেশ্বরীর অঙ্গ পূর্ববৎ নানা জহরতের অলঙ্কারে ঝলমল করিতেছে, সেইরূপ শাড়ীর আঁচল ও কেশ-পাশ বাতাসে উড়িতেছে, আর সেইরূপ স্নেহ-বিগলিত আদরের ডাক-তাহা সৰ্ব্বাঙ্গে যেন অমৃতের প্রলেপ দিল । ‘qएकऊ बांटब्रा ब्रांखां 6शों उधांटब्रां श्ल अi१ल স্বপনের দেখা শুনা-না পায় লাগল।” রাজা পরদিন পাত্ৰমিত্ৰ সকলকে ডাকাইয়া আনিলেন, তাহার চক্ষে জল,—মুখের পরিমান মাধুরী যেন করুণরসে ভরপুর। তিনি দীঘির পারে, একদিনের মধ্যে একখানি সুন্দর বাঙ্গালাঘর। নিৰ্ম্মাণ করিতে হুকুম দিলেন। বহু কারিগর নিযুক্ত হইল, আদেশ হইল যেন গৃহে কোন রন্ধ না থাকে ; রৌদ্র, হাওয়া ও জ্যোৎস্না হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত রাখিতে হইবে এই গুপ্ত গৃহ । কারিগরেরা গজারির কাঠ দিয়া থাম নিৰ্ম্মাণ করিল, সেই থাম কত বিচিত্র কারুকাৰ্য্যে খচিত। উলুছনের চাল এমন শক্ত ও সুঠাম হইল যে তাহা সম্পূর্ণ হইলে পর, ওস্তাদ তাহার উপরে স্তুপে স্তৰূপে খড় রাখিয়া আগুন ধরাইয়া দিলেন,-খড়গুলি পুড়িয়া তাহার ছাই বাতাসে উড়িয়া গেল, কিন্তু চালের কান অংশ পুড়িল না ; উলুখড়ের চালের উপর ছেচা বাঁশের ঢাকনিতে অগ্নিদেব কিছুকাল থাকিয়া উহা আরও পরিষ্কার করিয়া গেলেন, চালগুলি ঝলমল করিতে লাগিল। শীতলপাটীর নানারূপ ফুল পল্লবের গেরো লইয়া গৃহখানি যেন হাসিয়া উঠিল। সেই বেতের গেরোগুলির মধ্যে কত অন্সরা কিন্নরীর মুখ, কত হাতীর শুড়, কত অশ্বারোহী, কত বিচিত্র ও উদ্ভট, শ্বশ্ৰ-গুম্ফযুক্ত ভূত্যের মুখ-এই শীতলপাটি ঘেরা ঘরের বেড়াও নানারূপ আভের সংযোগে ও কারুকাৰ্য্যে দর্শনীয় হইল। সেই সূক্ষ্ম শীতলপাটীতে সুনিৰ্ম্মিত ঘরখানি একবারে নিরন্ত্র, একটি পিপড়ার পথও তাঁহাতে নাই,- গৃহের মধ্যভাগে শুভ্ৰ দৰ্পণের ন্যায় একখানি পালঙ্ক রাখা হইল ; সিলেটের