পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न्विन् স্বনামধন্য সাহিত্যিক রায় বাহাদুর ডক্টর দীনেশচন্দ্ৰ সেন মহাশয়ের শেষ গ্ৰন্থ “বাংলার পুরনারী” প্ৰকাশ করিয়া আমরা একই সঙ্গে গৌরব ও বেদন অনুভব করিতেছি। গৌরব এই জন্য যে, ইহা বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকের সর্বশেষ এবং অন্যতম শ্রেষ্ঠ গ্ৰন্থ, এই গ্রন্থের সঙ্গে দীনেশচন্দ্রের জীবনের স্মৃতি বিশেষভাবে জড়িত এবং ইহার মধ্যে গ্ৰন্থকারের এক উৎকৃষ্ট প্ৰামাণ্য জীবনী সংযুক্ত করিবার সুযোগ পাইয়াছি ; একাধিক দিক হইতে “বাংলার পুরনারী” বাংলা সাহিত্যের একখানি স্মরণীয় গ্ৰন্থ বলিয়া বিবেচিত হুইবার যোগ্য মনে করি । দুঃখ এই জন্য যে, গ্ৰন্থকার এই গ্রন্থের প্রায় সমস্ত কাৰ্য্য সমাপন করিয়া গ্ৰন্থখানি সম্পূর্ণ-আকারে প্রকাশিত হইবার পূর্বেই আমাদের ছাড়িয়া গেলেন। তবে এক বিষয়ে তাহাকে আমরা নিশ্চিন্ত ও আশ্বস্ত করিতে পারিয়াছিলাম, -এই গ্ৰন্থ প্ৰকাশের কাৰ্য্যে তঁাহার মৰ্য্যাদা যে আমরা পরিপূর্ণভাবে রক্ষা করিতে সক্ষম হইব সে বিষয়ে তঁহার কোন সন্দেহ ছিল না । বস্তুত পক্ষে এই গ্রন্থের সকল কাজ তাহার অনুমোদন অনুসারে সম্পাদিত হইয়াছে। দীনেশচন্দ্রের যে জীবন-কথা ইহার মধ্যে গ্রথিত করা হইল, তাহার সমস্ত উপকরণ গ্ৰন্থকার স্বয়ং আমাদের দিয়া গিয়াছেন। সুতরাং ইহার যাথার্থ্য সম্বন্ধে কাহারো সংশয়ান্বিত হইবার কোন কারণ নাই। এই অংশের প্রাফগুলি দীনেশচন্দ্রের পুত্ৰগণ দেখিয়া দিয়া আমাদের বিশেষ উপকার করিয়াছেন । আমরা একান্তভাবে আশা করি “বাংলার পুরনারী” বাঙালির কাছে সমাদর লাভ করিবে । ইতি দি ন্যাশন্যাল লিটারেচার কোম্পানী ২৫শে ডিসেম্বর, ১৯৩৯