পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার পুরনারী فسوا SHu D KBS DD D S DDS SDD DD BDBD BS মৰ্ত্তের মাটী ছাড়িয়া আস্যাছি, তার লাগি কেন মায়া ॥” রাজা ভাবেন, রাণী যদি একটি পান মুখে দেন, একটিবার চুয়া-চন্দনের ভ্ৰাণ গ্ৰহন করেন—তবে তিনি কৃতাৰ্থ হন । কিন্তু বিদেহী রাণী, রাজার ভালবাসা দেখিয়া মনে মনে দুঃখের সহিত একবার হাসেন ; রাণী ভাবেন, “আমি তো সমস্ত সুখই ছাড়িয়া পৃথিবীর মায়াপাশ কাটাইয়া আসিয়াছি, আমাকে সামান্য একটা পানের আদর দেখাইয়া আবার সংসারের দিকে টানিতেছেন কেন ? এই ছেলে বংশের একমাত্ৰ প্ৰদীপ, ইহাকে হারাইলে যে রাজছত্ৰ শূন্য হইবে, ও এই বংশের বাতি নিভিয়া যাইবে, এইজন্য আমার এখানে আসা ।” সেইদিন রাজা চিন্তা করিয়া সন্ধ্যার পর হইতে আরাম-গৃহ ছাড়িয়া দীঘির পারে বেড়াইতে লাগিলেন। রাজা দেখিলেন কমলা-সায়রে একটি ফুল্লকমল ফুটিয়াছে, তখন “আমার কমলা কোথায়” ভাবিয়া রাজার চক্ষে অশ্রু টলটল করিতে লাগিল । রাত্রি এক প্রহর হইল, তখনও রাজপথে জনতা কমে নাই ; পথচারীর ডাকাডাকি, দোকানদারগণের হাকাহঁকি ও যান-বাহণের শব্দে রাস্তাঘাট সরগরম। দ্বিতীয় প্ৰহরেও কৃষকের ভাটিয়াল রাগ-বড় মানুষের জৌলসী বৈঠকে নৃত্য-গীত, টোলের ছাত্রদের ব্যাকরণ আবৃত্তি শোনা যাইতে লাগিল । দ্বিপ্রহর রাত্রে অভিসারিকার মস্থর পাদক্ষেপ ও ঘোমটার অন্তরালে অতিমৃদু প্ৰেম-আলাপন, ঘুম-ভাঙ্গা শিশুর ক্ৰন্দন ও দুধের বাটী ও ঝিনুকের ঠুনটুন শব্দ—এসকলও থামিয়া গেল, এবং তৃতীয় প্রহরে কচিৎ গৃহপালিত পাখীর মিষ্ট কলরবে গুঞ্জরিত বাতাস যেন ঘুমের ঘোর ছড়াইয়া দিল। তখন নিস্তব্ধ আকাশে তারাগুলি নিম্পন্দ হইয়া চাহিয়া আছে, কমলা-সায়রের কমলটি নিজের রূপের ভরে ঘুমের আবেশে হেলিয়া পড়িয়াছে, এবং সারা জগৎ সুসুপ্তির আবেশে নিশ্চল ভাবে মোহাচ্ছন্ন হইয়া পড়িয়াছে। রাজার চোখ দুটি একবারও মুদিত হয় নাই ; তঁহার বিরহ-ক্লান্ত চক্ষু হইতে ঘুম চলিয়া গিয়াছে। রাজা এই নিথর নিস্তব্ধ। রজনীতে দেখিলেন,