পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা রাণী ܦܠܓ এক বৃদ্ধ গাড়োর পরামর্শ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হইল। তিন ক্রোশ দূরে “ধনাইর খাল” নামক একটি নদী আছে। সেই বৃদ্ধ গাড়ো বলিল, “যদি রাতারাতি আমরা অন্ধকারে নালা কাটিয়া এই গাঙ্গিনার সহিত নদীর যোগ করিতে পারি, তবে ইশা খারা ভাওয়ালিয়া গুলি দিয়াই আমরা জঙ্গলবাড়ীর সহরে পৌছিতে পারিব।” সেই রাত্রি আঁধার ও মেঘপূর্ণ ছিল, নিঃশব্দে দূরে “ধনাইর খাল হইতে তাহারা নালা কাটিতে আরম্ভ করিল। ত্ৰিশ হাজার সবল হস্তের কোদালের আঘাতে রাত্ৰি এক প্ৰহরের মধ্যেই নালা কাটা শেষ হইয়া গেল। কুমার রঘুনাথকে ধরিয়া আনিয়া ইশা খাঁ জঙ্গল-বাড়ীতে বিজয়োৎসব করিতেছিলেন । সেরাত্রে সহরের সমস্ত লোক মদ্যপান করিয়া আনন্দোৎসবে মত্ত হইয়াছিল। এমন সময় যে গাড়োরা এরূপ কাণ্ড করিবে, তাহা কে জানিত ? ইশা খারা ভাওয়ালিয়াগুলি ঘাটে ঘাটে বাধা ছিল, মাঝি মল্লারা নিশ্চিন্তভাবে উৎসব করিতেছিল,-গাড়োরা সেই শত শত রণতরী খুলিয়া লইল এবং বন্যার মত যাইয়া বন্দী-শালার প্রহরীদিগকে মারিয়া রাজকুমারকে উদ্ধার করিয়া লইয়া আসিল । এই ঘটনা যেন চোখের পলকে ঘটিয়া গেল। ‘डा७ग्रांलIांश् ऐग्रिा उहद लांफू भांब्रल ॉिन। পঙ্খী-উড়া করে। যেমন পবন সমান ॥ তিন দিনের পথ যায় প্ৰহরেতে বাইয়া । ইশা খাঁ নাগাল পাবে কেমন করিয়া । म९ठदj \9 ख्igव्bटा যতই কেন অলৌকিক ঘটনা সম্বলিত হউক না, কমলারাণীর এই দুইটি কাহিনী—ঐতিহাসিক ভিত্তির উপর দাড়াইয়া আছে।