পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sa C ধনেশ্বরের দুর্ভাগ্য ভাটী মুল্পকে ধনেশ্বর নামক এক সম্রান্ত সদাগর ছিলেন। র্তাহার কুবেরের মত ঐশ্বৰ্য ছিল :-বাড়ীর দুয়ারে হাতী, ঘোড়া বঁধা থাকিত এবং গৃহে এগার বছরের এক কন্যা ও চার বছরের এক পুত্ৰ, দুইটি সাঁঝের বাতির মত ঘরখানি উজ্জল করিয়া রাখিয়াছিল। কন্যাটি এমন রূপবতী छिब्ल,- “হীরা মতি জলে কন্যা যখন নাকি হাসে । নূতন বর্ষায় যেমন পদ্ম ফুল ভাসে ॥” ছেলেটিও একটি সোনার পুতুলের মত আঙ্গিনায় খেলিয়া বেড়াইয়া যেন স্বর্ণ বৃষ্টি করিয়া যাইত। কিন্তু মানুষের সৌভাগ্য চিরদিন স্থির थकe । সদাগরের দুবুদ্ধি হইল, তিনি জুয়া খেলায় সর্বস্বান্ত হইলেন । আগুন লাগিলে যেরূপ অল্প সময়ের মধ্যে দাউ দাউ করিয়া ঘর বাড়ী পুড়িয়া যায়, এই জুয়া খেলায় দেখিতে দেখিতে তাহার দুর্দশার চরম অবস্থা দাড়াইল । এত বড় রাজপ্ৰাসাদের “মালমাত্তা', হাতী, ঘোড়া, যানবাহন যেন ভোজবাজির প্রভাবে অদৃশ্য হইল ; বারখানি মাল-বোঝাই জাহাজ তাহদের সোনার মাস্তুল লইয়া জুয়া খেলার অতল জলে ডুবিয়া গেল। পাশায় হারিয়া মহারাজা যুধিষ্ঠির কৌপীন-বন্ত হইয়া বনে গিয়াছিলেন, ধনেশ্বর সদাগরের অবস্থা সেইরূপ হইল । ইহার উপর আর এক বিপদ, কন্যাটি দ্বাদশ বৎসরে পড়িয়াছে। ইহাকে এখন বিবাহ না দিলে সামাজিক সম্মান থাকে না ; কিন্তু “জুয়ারীর

  • মূলে ‘সুজাতি’ স্থলে আমি "নূতন’ শব্দ দিয়াছি।