পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা २ ॐ তোহে জনমি পুন তোহে সমাওত সাগর লহর সমান ॥ ভনয়ে বিদ্যাপতি শেষ সমন ভয় তুয়া বিনু গতি নহি আরা। আদি অনাদি নাথ কহয়সি ভবতারন ভার তোহার। ] আর-একটু বিস্তৃতভাবে চণ্ডীদাস ও বিদ্যাপতির পদগুলো নিয়ে আলোচনা করে দেখলে ধর পড়ে যাবে, চণ্ডীদাসের প্রেম স্থির ধীর শাস্ত স্নিগ্ধ ৷ তাতে বিরহের দহন আছে, কিন্তু যৌবনের দগ্ধানি নেই। বিদ্যাপতির প্রেম সদাই সচকিত, আপনাতে আপনি বিভোর । যেন নবযৌবনের জোয়ারে হৃদয়ের একুল ওকুল দুকূল ভেসে যায়। চণ্ডীদাস আর বিদ্যাপতি দু জনে মিলে যে-পথ দেখিয়ে গেলেন, সে-পথ বেয়ে প্রায় তিন শো বছর ধরে অনেক বাঙালী কবি তাদের গান গেয়ে গেছেন। পনেরো শো শতাব্দীতে চৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাবের পর বাংলা কাব্যসাহিত্য এক নতুন শক্তি পেল । নৈয়ায়িক আর স্মর্ত পণ্ডিতেরা যাই বলুন-না কেন, চৈতন্যদেবের সহজ প্রেমধর্ম বাংলাদেশের মর গাঙে এমন এক বাণ ডেকে আনল যে, তার বেগ বাংলা লিরিককে বহুদূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। মহাপ্রভুর শিষ্য-প্রশিষ্য ও তাদের শিষ্যানুশিষ্যরা গৌরাঙ্গের মর্তলীলায় বাংলা লিরিকের আর-এক উৎস খুজে পেলেন, এবং তাতে উৎসাহিত হয়ে কবিতা লিখে ফেললেনও বড় কম নয় । " তবে সব পদকতাই যে ভালো কবিতা লিখতে পেরেছেন, তা নয় । পরবর্তীকালের অনেকেই একটা বিশেষ কোনো উদ্দেশু নিয়েই কবিতা রচনা করে গেছেন। কবিতা দিয়ে আনন্দ বিতরণ করার চেয়ে তাই