পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংলা লিরিকের গোড়ার কথা 役 না কেন ? এসব ব্যবস্থা ব্রাহ্মণরা লোক ঠকিয়ে নিজেদের জীবিকাঅর্জনের সোজা উপায় করার জন্যে নিরীহ নির্বোধ লোকসমাজে প্রচার করেছেন, ইত্যাদি ইত্যাদি । চার্বাকের দৌড় কিন্তু ঐ পর্যস্ত। খাওদাও মজাসে আরাম কর— এই স্থল পথ ছাড়া চার্বাক আর কোনো পথ দেখাতে পারেন নি । সহজপন্থীরা কিন্তু সাধনমার্গে এমন-এক পন্থা দেখিয়েছিলেন যার জের বাঙালী সমাজ থেকে এখনো মেটে নি । সিদ্ধাচার্যদের ধর্মমত ব্যাখ্যা করে বোঝানো আমার সাধ্য নয় । তার জন্যে পণ্ডিতদের ডাকতে হয়। তবে পণ্ডিতেরাও যে এ-বিষয়ে একমত, সেট মনে করলে অত্যন্ত ভুল করা হবে । কিন্তু তত্ত্বকথা শোনাতে গেলে গভীর জলে নামতে হয়, তখন আর থই পাওয়া ভার। তা ছাড়া, আমি তো কোনো ধর্ম-আলোচনা করতে বসি নি । কাব্য নিয়েই আমার কথা। স্বতরাং সেই দোহার পুথি থেকেই আমি দুটো দোহা তুলে ধরছি। হয়তে এর থেকে সহজধর্মের মর্ম খানিকটা ভেদ করতে পারা যাবে। কিস্তহ দীবে কিন্তহ নিবেজে । কিন্তহ কিজেই মস্তহ সেব,বেঁ । কিন্তহ তিত,থ তপোবন জাই । মেক্‌খ কিং লবভই পাণী হাই । এসো জপহোমে মণ্ডল কৰ্ম্মে । অণুদিন অচ্ছসি বাহিউ ধৰ্ম্মে । তো বিধু তরুণ নিরস্তর শেহে । বোধি কি লব ভই প্রণ বিণ দেহেঁ । আন্দাজে-আন্দাজে এর যা মানে বোঝা গেল, সেটা হচ্ছে এই : দীপ জালিয়েই তোর কি হবে, আর নৈবেদ্য সাজিয়েই-ব তোর কি হবে ? মন্ত্রজপ করে আর তীর্থ-তপোবনে গিয়েই-ব তোর কি লাভ ?