পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

g বাংলা শব্দতত্ত্ব হীরেন্দ্রনাথ দত্ত (সভাপতি ) যোগদান করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উক্ত আলোচনা-প্রসঙ্গে বলেন : পণ্ডিত সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূবণ মহাশয় যে-সকল কথার উল্লেখ করিয়াছেন, তজন্ত আমি কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি । বাংলাভাষার আকৃতি কিরূপ হইলে ভালেt হয়, সে সম্বন্ধে আমার মত যে কী, তাহ আমি এ-প্রবন্ধে বলি নাই, বলিতে আমাদের কাছে এগুলি এখন অতি বড়ো জিনিস। ভাষার প্রাকৃতত্ব এখন উছাদের উপরে নির্ভর করিতেছে। রবাত্রবাবুর একটা কথার সহিত আমার মতভেদ আছে। বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় যে-সম্বন্ধ তাহ দেহ-পরিচ্ছদ সম্বন্ধ নহে ; দেহের উৎকৃষ্ট অংশ বটে। দেহ-পরিচ্ছদ সম্বন্ধ হইলে বাংলাভাষাকে শবদেহ বলিতে হয়, কিন্তু তাহা নহে। জীবনীশক্তি বাংলাতেও আছে– শব্দরূপ, ধাতুরূপ, সব বাংলা । কোনোটা একটু বৰ্ধিত কোনোট। একটু কর্তিত, ইহা দ্বারা অমি যেমন বাংলাভাষাকে একটু বাড়াইলাম তেমনই একটু কমাইয়াও দিলাম। তর্কের খাতিরে কাহাকেও অপদস্থ করিতে নাই। যাহার যে নাম সেই নামে ডাকিলে শীঘ্র ডাক শোনা যায় । ==গুরুদাস ৰন্দ্যোপাধ্যায় । ১. প্রবন্ধপাঠকের সহিত আমার একটা বিশেষ মতভেদ আছে । তিনি বলেন এইসকল বিষয় অকিঞ্চিৎকর ও বিস্মরণযোগ্য, আমি তাহ কিছুতেই স্বীকার করি না । অন্ত কোনো বিষয়ে আমার সহিত র্তাহার কোনো মতভেদ নাই । তাহার প্রবন্ধ রচনানির্দেশের নিয়মপ্রকাশক নহে । বিদ্যাভূষণ মহাশয় আশঙ্কিত হইয়াছেন কেন বলিতে পারি না । সংস্কৃত ছাড়িয়া বাংলাভাষা চলে না ; কিন্তু তাই বলিয়া সংস্কৃতের অনাবশ্যক প্রলেপ দিয়া বাংলাকে ভারাক্রান্ত করিবার আবস্তক কী। রবীন্দ্রৰাবু যে-সকল শব্দ সম্বন্ধে আজ নানাবিধ তথ্য প্রকাশ করিলেন, বিদ্যাভূষণ মহাশয় তাহাদিগকে ভঙ্গুর বলিতেছেন কেন । কতকগুলি শব্দ কেন, সমস্ত ভাষাই তো ভঙ্গুর। সংস্কৃতসাহিত্যে বৈদিক শব্দই আর এখন কি ব্যবহার হয় না সে ভাষা চলে ? সেক্সপিয়রের ভাষা, ড্রাইডেনের ভাষা এখনকার ইংরেজিসাহিত্যে অপ্রচলিত হইয়া গিয়াছে। সেক্সপিয়র অপেক্ষা ড্রাইডেন আধুনিক। র্তাহার শব্দগুলা পর্যন্ত অব্যবহার্ষ হইয়া যাইতেছে। যোগ্যতমের উদ্ববর্তন ভাষাতত্ত্বেও খাটে। রবীন্দ্রবাবু এইসকল শব্দকে চিরস্থায়ী করিতে চেষ্টা পান নাই। শব্দকে স্থায়ী করিতে কেহ পারে না। মহাকবি-প্রয়োগে কতকটা হয়, সম্পূর্ণ হয় না। সেক্সপিয়র তাহার উদাহরণ। ৰিভক্তিও ভাষার ইঙ্গিত। ইংরেজিতে বিভক্তির preposition পূর্বনিপাত এবং বাংলায় পরনিপাত ( post-position) হয় । যেমন "to me' ও গাছ থেকে । রবীন্দ্রবাবু কবির দৃষ্টিতে মাতৃভক্তের ভক্তিতে এইসকল আৰিষ্কার করিয়াছেন। খুটখাট শব্দ মুট নাট, হইয়া গেলে আত্মার দেহান্তর গ্রহণবৎ হয়। রবীন্দ্রবাবু আমাদের চিরপরিচিত শব্দগুলিকে বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে দেখিয়াছেন এবং দেখইয়াছেন । এইসকল শব্দের ভাষায় বহুল ব্যবহার হইবে কি না তাহ আর এখন জিজ্ঞাস্ত হইতে পারে না। নাটকে এইসকল শব্দ গৃহীত হইতে जांब्रड श्ब्रांरह । श्ब्रछिठ नाप्लेक छांबांब्र वङ्कांण थांकि८ष ! tबछानिएकब्र क्रप्क किङ्कहे नग१]