পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8년) বাংলা শব্বতত্ত্ব ‘সংস্কৃতি’ শব্দ সম্বন্ধে তিনি তার সম্পূর্ণ অনুমোদন জ্ঞাপন করেন, 'কৃষ্টি শব্দ আর ব্যবহার করা ঠিক হয় না, একথাও বলেন।”. —সোনার বাংলা, শারদীয়া সংখ্যা ১৩৫৩ অপিচ সংস্কৃতি শিল্প ইতিহাস’, ১৯৭৬, পৃ. ৭-৮ সুধীন্দ্রনাথ দত্তকে লিখিত পত্রে রবীন্দ্রনাথ “কৃষ্টি সম্বন্ধে যে বিরূপতা প্রকাশ করেন তাহার প্রতিধ্বনি অন্যত্রও আছে— •••রাজা । ওহুে ইস্কাবনের গোলাম ! গোলাম । কী রাজাসাহেব ! রাজা। তুমি তো সম্পাদক । গোলাম। আমি তাসদ্বীপপ্রদীপের সম্পাদক । আমি তাসদ্বীপের কৃষ্টির রক্ষক | রাজা । কৃষ্টি ! এটা কী জিনিস। মিষ্টি শোনাছে না তো । গোলাম । না মহারাজ, এ মিষ্টি ও নয়, স্পষ্টও নয়, কিন্তু যাকে বলে নতুন— নবতম অবদান । এই কৃষ্টি আজ বিপন্ন। সকলে । কৃষ্টি, কৃষ্টি, কৃষ্টি ।••• গোলাম । টেক্কাকুমারী, বিবিম্বন্দরী, মনে রেখো, আমার হাতে সম্পাদকীয় স্তম্ভ । সকলে । কৃষ্টি, কৃষ্টি, তাসদ্বীপের কৃষ্টি । বঁচিাও সেই কুষ্টি । গোলাম। জারি করো বাধ্যতামূলক আইন। রাজা। অর্থাৎ ? গোলাম । কান-মল! মোচড়ের আইন । রাজা। বুঝেছি। রানীবিবি, তোমার কী মত। বাধ্যতামূলক আইন এবার তবে চালাই ? রানী। বাধ্যতামূলক আইন অন্দরমহলে আমরাও চালিয়ে থাকি – দেখব, কে দেয় কাকে নির্বাসন । টেক্কাকুমারীরা (সকলে ) । আমরা চালাব অবাধ্যতামূলক বে-আইন। গোলাম। এ কী হল । হায় কৃষ্টি, হায় কৃষ্টি, হায় কৃষ্টি !••• —তাসের দেশ, দ্বিতীয় দৃপ্ত Tম দ্রষ্টব্য ভাষার খেয়াল, পাদটীকা, পৃ. ২৫০