পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vio/o কিম্বা “ও” কোথাও স্থান পায় না । কিন্তু পণ্ডিতেরা বাংলা-ভাষার ক্ষেত্রেও বাংলা-ভাষার আইনকে আমল দেন নাই। আমি এই যে দৃষ্টাস্তগুলি দেখাইতেছি তার মতলব এই যে, পণ্ডিত মশায় যদি সংস্কৃতরীতির উপর ভর দিয়া বাংলারীতিকে অগ্রাহ করিতে পারেন, তবে আমরাই বা কেন বাংলারীতির উপর ভর দিয়া যথাস্থানে সংস্কৃতরীতিকে লঙ্ঘন করিতে সঙ্কোচ করি? “মনোসাধে” আমাদের লজ্জা কিসের ? “সাবধানী” বলিয়া তখনি জিব কাটিতে যাই কেন ? এবং “আশ্চৰ্য্য হইলাম” বলিলে পণ্ডিত মশায় “আশ্চৰ্য্যাম্বিত হয়েন” কী কারণে ? আমি যে-কথাটা বলিতেছিলাম সে এই—যখন লেখার ভাষার সঙ্গে মুখের ভাষার অসামঞ্জস্য থাকে তখন স্বভাবের নিয়ম অনুসারেই এই দুই ভাষার মধ্যে কেবলি সামঞ্জস্যের চেষ্টা চলিতে থাকে । ইংরেজি-গদ্যসাহিত্যের প্রথম আরম্ভে অনেক দিন হইতেই এই চেষ্টা চলিতেছিল। আজ তার কথায় লেখায় সামঞ্জস্য ঘটিয়াছে বলিয়াই উভয়ে একটা সাম্য দশায় আসিয়াছে। আমাদের ভাষায় এই অসামঞ্জস্য প্রবল স্থতরাং স্বভাব আপনি উভয়ের ভেদ ঘুচাইবার জন্য ভিতরে ভিতরে আয়োজন করিতেছিল । এমন সময় হঠাৎ আইনকৰ্ত্তার প্রাদুর্ভাব হইল। র্তারা বলিলেন লেখার ভাষা আজ যেখানে আসিয়া পৌছিয়াছে ইহার বেশি আর তার নড়িবার হুকুম নাই । "সবুজপত্ৰ”-সম্পাদক বলেন বেচার পুথির ভাষার প্রাণ কাদিতেছে কথার ভাষার সঙ্গে মালা বদল করিবার জন্ত । গুরুজন