পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টা টো টে ১৩ আমরা আ স্বরবর্ণের সমালোচনাস্থলে লিথিয়াছিলাম ক্ষর পূর্ববর্তী আকার ও হইয়া যায়। যেমন, লক্ষ ( লোক্ষ), পক্ষ { পোক্ষ ), ইত্যাদি । যে কারণবশতঃ ক্ষ-র পূর্ববর্তী অ ওকারে পরিণত হয় সেই কারণেই ক্ষ-সংযুক্ত আকার এ হইয়া যায়। যথা, রক্ষা—রক্ষে। বাংলায় ক্ষ-অন্ত শব্দের উদাহরণ অধিক না থাকাতে এই একটি দৃষ্টান্ত দিয়াই নিরস্ত হইলাম । য-ফলা এবং ক্ষ সম্বন্ধে একটি কথা বলিয়া রাখি। য-ফলা ও ক্ষ-সংযুক্ত আকার একারে পরিণত হয় বটে কিন্তু আদ্যক্ষরে এ নিয়ম খাটে না ; যেমন ত্যাগ, ন্যায়, ক্ষার ক্ষালন ইত্যাদি । বাংলার অনেকগুলি আকারাস্ত ক্রিয়াপদ কালক্রমে একারাস্ত হইয়া আসিয়াছে। পূৰ্ব্বে ছিল করিলা, খাইলা, করিতা, খাইত, করিব, খাইবা । এখন হইয়াছে করিলে, খাইলে, করিতে, খাইতে, করিবে, খাইবে । পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী ইকারের প্রভাবেই যে আ স্বরবর্ণের ক্রমশ এইরূপ দুৰ্গতি হইয়াছে তাহা বলা বাহুল্য। পূৰ্ব্বে ই থাকিলে যেমন পরবর্তী আ এ হইয়া যায় তেমনি পূৰ্ব্বে উ থাকিলে পরবর্তী আ ও হইয়া যায় এইরূপ উদাহরণ বিস্তর আছে। যথা— ফুটা—ফুটে৷ মুঠ—মুঠো কুলা–কুলে চুলা-চুলো