পাতা:বাংলা সাময়িক-পত্র (১৮১৮-১৮৬৮).pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা সাময়িক-পত্ৰ صو আমারদিগের হিতেচ্ছা প্রবল হইতেছে। অপর এতদ্ধেশীয় সুশিক্ষিত ব্যক্তিদিগেরও স্বদেশের হিতাকাঙ্ক্ষা জন্মিয়াছে এবং তঁাহারা বিশেষ যত্নবান হইলে তঁহাদিগের দ্বারা অনেক উপকার দশতে পারে। আর "তড়িান্ন অন্যান্ত ব্যক্তিদিগের স্বস্ব মতের বিরুদ্ধ কথা শ্ৰবণে যে দ্বেষ তাহার হ্রাস হইতেছে । অতএব এতদ্রুপ অবস্থায় গবৰ্ণমেণ্টের সমীপে দুঃখসমূহ নিবেদন পূর্বক যাহাতে ঐ ক্লেশ নিবারণ এবং দেশের অবস্থার উৎকৃষ্টত হয় তাহার প্রার্থনা, এবং আমারদিগের প্রাধিত বিষয়ে সাহায্য করণার্থে ইংরাজদিগের অনুরোধ করা, আর সুশিক্ষিত ব্যক্তিদিগকে স্বদেশের মঙ্গলার্থে সম্যকৃ প্রকারে যত্ন করিতে প্ৰবৃত্তি প্ৰদান, এবং অস্মদেশীয় সাধারণ জনগণকে স্বস্বহিতাহিত উত্তমরূপে বিবেচনা দ্বারা উৎসাহাবলম্বন পূর্বক আপনারদিগের মঙ্গলার্থে সচেষ্টত হইতে প্রার্থনা করা অ! মাদিগের যথাসাধ্য অবঃ কৰ্ত্তব্য হইয়াছে। পূৰ্বোক্ত অভিপ্ৰায়ানুসারে আমরা এতৎপত্রে ঐ সকল বিষয়ের বিশেষ আলোচনা করিব যদ্বারা রীতি ব্যবহারাদির উত্তমতা এবং বিষ্ঠা, কৃষিকৰ্ম্ম, ও বাণিজ্যাদির বুদ্ধি আর রাজ্যশাসন কাৰ্য্যের সুনিয়ম হই যা প্ৰজাদিগের সর্বপ্রকারে উন্নতি হয় । পাচ মাস মাসিক-রূপে চলিয়া, ১৮৪২ সনের সেপ্টেম্বর মাস হইতে ‘বেঙ্গাল স্পেকটেটর’ পাক্ষিক পত্রে পরিণত হয়। ১ম খণ্ড, সপ্তম সংখ্যার ( ১ সেপ্টেম্বর ১৮৪২ ) শেষে এইরূপ বিজ্ঞাপিত হয় :- এক্ষণে এতৎপত্র ইংরাজী ও বাঙ্গালা ভাষায় রচিত হইয়া মাসে দুইবার প্রকাশ হইবেক । পর-বৎসর মার্চ মাস হইতে ‘বেঙ্গাল স্পেকটেটর’ সাপ্তাহিক-রূপে প্ৰকাশিত হইতে থাকে। ২য় খণ্ড, ৪-৫ সংখ্যার ( ফেব্রুয়ারি-কাচ, ১৮৪৩) শেষে এই অংশটি মুদ্রিত আছে,- এতাং পত্র এক্ষণে মাসে দুইবার প্রকাশ না হইয়া মেং টমসন, সাহেদের সাহায্যে সপ্তাহানন্তর প্রকাশ হুইবেক, এতাং ক্ষুদ্র পত্রিকা দ্বারা যাহাতে ভারতবর্ষের উপকার হ২ তন্নিমিত্ত উক্ত সাহেব অতি যত্নবান, আমরা ভরসা কবি পাঠকবর্গ এই সংবাদ ও বণে আহল্লাদিত হইবেন । পরবর্তী নবেম্বর মাসে ‘বেঙ্গাল স্পেকটেটরে’র প্রচার রহিত হয়। ৩য় খণ্ড, ৩৯ সংখ্যায়। ( ২০ নবেম্বর ১৮৪৩ ) কর্তৃপক্ষ দুঃখের সহিত জানাইলেন :- ১৮৪২ শালের এপ্ৰেল মাসাবধি বেঙ্গাল স্পেকুটেটর পত্র মাসিক পত্রিকা রূপে প্ৰকাশ হয়, প্রোপ্ৰাইটািরদিগের এতদ্বারা লাভ করণের ইচ্ছা না থাকাতে ঐ বৎসরেয় সেপ্টে% ব: মাসাবধি পক্ষান্তে প্ৰকাশ হইতে লাগিল এবং যদিও গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি হয় নাই এবং শ্যায়। দ্বারা ব্যয় নির্বাহ হইত না তথাচ প্রোপ্ৰাইটারেরা এই পত্রিকা বিশেষরূপে দেশোপকারিণী কারণাশয়ে ১৮৪৩ শালের মার্চ মাসাবধি সাপ্তাহিক করিলেন তঁাহারা প্ৰায় ৮ মাস পৰ্য্য স্থা ইহা হইতে ব্যয় নিৰ্বাহ হয় কি না পরীক্ষা করিতেছিলেন। কিন্তু শেষে দেঙ্গিলেন যে ইহা’ে” সহস্র মুদ্রার অধিক ক্ষতি হইয়াছে। সাপ্তাহিক হওয়াতে যদিও গ্রাহক বৃদ্ধি হইয়াছিল। তথাচ তদ্বারা সমুদ্ৰায় ব্যয় নিৰ্বাহ হইত না। আর যে অভিপ্ৰায়ে এ পত্র সৃষ্টি হয় অর্থা।"