১৫ ; ৩–১ ৬ ; ২১ । ] ৩ হন্তে ঈশ্বরের বীণ। আর তাহারা ঈশ্বরের দাস মোশির * গীত ও মেষশাবকের গীত গায়, বলে, “মহৎ ও আশ্চর্যা তোমার ক্রিয় সকল, হে প্রভু ঈশ্বর, সৰ্ব্বশক্তিমান ; ন্যাষা ও সত্য তোমার মার্গ সকল, হে জাতিগণের + রাজন। হে প্রভু, কে না ভীত হইবে ? এবং তোমার নামের গৌরব কে না করিবে ? কেননা একমাত্র তুমিই সাধু, কেননা সমস্ত জাতি আসিয়া তোমার সম্মুখে ভজন করিবে, কেননা তোমার ধৰ্ম্মক্রিয়া সকল প্রকাশিত হইয়াছে।” ৪ আর তাহার পরে আমি দেখিলাম, স্বর্গে সাক্ষ্য৬ তাম্বুর মন্দির খুলিয়া দেওয়া হইল ; তাহাতে ঐ সপ্ত আঘাতের কৰ্ত্তী সপ্ত দূত মন্দির হইতে বাহিরে আসিলেন, তাহার। বিমল ও উজ্জ্বল মসীন-বস্ত্র পরিহিত, ৭ এবং তাহাদের বক্ষঃস্থলে সুবর্ণ পটুকী বদ্ধ। পরে চারি প্রাণীর মধ্যে এক প্রাণী ঐ সপ্ত দূতকে সপ্ত সুবর্ণ বাটি দিলেন, সেগুলি যুগপৰ্য্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত ৮ ঈশ্বরের রোষে পরিপূর্ণ। তাহাতে ঈশ্বরের প্রতাপ হইতে ও র্তাহার পরাক্রম হইতে উৎপন্ন ধূমে মন্দির পরিপূর্ণ হইল ; এবং ঐ সপ্ত দূতের সপ্ত আঘাত সমাপ্ত না হওয়া পৰ্য্যন্ত কেহ মন্দিরে প্রবেশ করিতে পারিল না। : S\, পরে আমি মন্দির হইতে এক উচ্চ বাণী শুনিলাম, তাহ ঐ সপ্ত দূতকে কহিল, তোমরা যাও, ঈশ্বরের রোষের ঐ সপ্ত বাটি পৃথিবীতে ঢালিয়া দেও ২ পরে প্রথম দূত গিয়া পৃথিবীর উপরে আপন বাটি ঢালিলেন, তাহাতে সেই পশুর ছবিবিশিষ্ট ও তাহার প্রতিমার ভজনাকারী মনুষ্যদের গাত্রে ব্যথাজনক দুষ্ট ক্ষত জন্মিল । পরে দ্বিতীয় দূত সমুদ্রের উপরে আপন বাটি ঢালিলেন, তাহাতে তাহ মৃত লোকের রক্তের তুলা হইল, এবং সমস্ত জীবিত প্রাণী, সমুদ্রচর জীবগণ, মরিল। পরে তৃতীয় দূত নদনদী ও জলের উনুই সকলের উপরে আপন বাটি চালিলেন, তাহাতে সে সকল রক্ত ৫ হইয় গেল। $ তখন আমি জলসমূহের দূতের এই বাণী শুনিলাম, হে সাধু, তুমি আছ ও তুমি ছিলে, তুমি ৬ ন্যায়পরায়ণ, কারণ এরূপ বিচারাজ্ঞা করিয়াছ ; কেননা উহার পবিত্ৰগণের ও ভাববাদীদের রক্তপাত করিয়াছিল, আর তুমি উহাদিগকে পানার্থে রক্ত দিয়াছ ; ৭ তাহার। ইহার যোগ্য। পরে আমি যজ্ঞবেদির এই
- যাত্রা ১৫ ; ১ । দ্বি ৰি ৩২ ; ৪ । যির ১০ ; ৭ । গীত ৮৬ , ৯ ।
+ ( বা ) যুগপৰ্য্যায়ের । ( বা ) পবিত্ৰগণের । # যাত্র ৪০ ৩০, ৩০ । ১ রাজা ৮ ; ১৪, ১১ ৷ $ যাত্রা ৯ ; ১১ ৷ ৭ ৷ ১৭-২৪ ৷ 3) 3. প্রকাশিত বাক্য । o $ 8 & বাণী শুনিলাম, ই, হে প্রভু ঈশ্বর, সৰ্ব্বশক্তিমান, তোমার বিচারাজ্ঞ সকল সত্য ও ন্যায্য । পরে চতুর্থ দূত স্থয্যের উপরে আপন বাটি ঢালিলেন ; তাহাতে অগ্নি দ্বারা মনুষ্যদিগকে তাপিত করিবার ৯ ক্ষমত। তাহাকে দত্ত হইল । তখন মনুষ্যের মহা উত্তাপে তাপিত হইল, এবং যিনি এই সকল আঘাতের উপরে কর্তৃত্ব করেন, সেই ঈশ্বরের নামের নিন্দ। করিল , তাহাকে গৌরব প্রদান করিবার জন্য মন ফিরাইল না । পরে পঞ্চম দূত সেই পশুর সিংহাসনের উপরে আপন বাটি ঢালিলেন : তাহাতে তাহার রাজ্য অন্ধকারময় হইল, এবং লোকের বেদন প্রযুক্ত আপন ১১ আপন জিহব। চৰ্ব্বণ করিতে লাগিল ; এবং আপনাদের বেদন ও ক্ষত প্রযুক্ত স্বর্গের ঈশ্বরের নিন্দ করিল : আপন আপন ক্রিয় হইতে মন ফিরাইল না। পরে ষষ্ঠ দূত ইউফ্রেটাস মহানদীতে আপন বাটি ঢালিলেন ; তাহাতে নদীর জল শুষ্ক হইয় গেল, যেন সুৰ্য্যোদয় স্থান হইতে আগমনকারী রাজাদের ১৩ জন্য পথ প্রস্তুত করা যাইতে পারে। পরে আমি দেখিলাম, সেই নাগের মুখ ও পশুর মুখ ও ভাক্ত ভাববাদীর মুখ হইতে ভেকের ন্যায় তিনটী অশুচি ১৪ আত্মা বাহির হইল। তাহারা ভুতদের আত্মা, নানা চিহ্ন-কাৰ্য্য করে ; তাহারা জগৎ সমুদয়ের রাজাদের নিকটে গিয়া সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বরের সেই মহাদিনের ১৫ যুদ্ধার্থে তাহাদিগকে একত্র করে –দেখ, আমি চোরের ন্যায় আসিতেছি ; ধন্য সেই ব্যক্তি, যে জাগিয়া থাকে, এবং আপন বস্ত্র রক্ষা করে, যেন সে উলঙ্গ হইয়া না বেড়ায়, এবং লোকে তাহার অপমান না ১৬ দেখে —পরে উহার, ইব্রীয় ভাষায় যাহাকে হরমাগিদোন বলে, সেই স্থানে তাহাদিগকে একত্র করিল। পরে সপ্তম দূত আকাশের উপরে আপন বাটি ঢালিলেন, তাহাতে মন্দিরের মধ্য হইতে, সিংহাসন ১৮ হইতে, এই মহাবাণী বাহির হইল, “ হইয়াছে । আর বিদ্যুৎ ও শব্দ ও মেঘধ্বনি হইল, এবং এক মহাভূমিকম্প হইল পৃথিবীতে মনুষ্যের উৎপত্তিকাল অবধি যেমন কখনও হয় নাই, এমন মহাভূমিকম্প, এমন ১৯ প্রচণ্ড । তাহাতে মহানগরী তিন ভাগে বিভক্ত হইল, এবং জাতিগণের নগর সকল পতিত হইল ; এবং মহতী বাবিলকে ঈশ্বরের সাক্ষাতে স্মরণ করা গেল, যেন ঈশ্বরের ক্রোধের রোষ-মদিরাতে পূর্ণ পানপত্র ২• তাহাকে দেওয়া যায়। আর প্রত্যেক দ্বীপ পলায়ন ২১ করিল, ও পর্বতগণকে আর পাওয়া গেল না। আর আকাশ হইতে মনুষ্যদের উপরে বৃহৎ বৃহৎ শিলাবর্ষণ হইল, তাহার এক একটী এক এক তালন্ত পরিমিত ; এই শিলাবৃষ্টিরূপ আঘাত প্রযুক্ত মনুষ্যের ঈশ্বরের 蠶 করিল ; কারণ সেই আঘাত আতিশয় | by У о ১২ So 245