পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৯;৯—১০;২৮।]
আদিপুস্তক।

কহিলেন, দেখ, তোমাদের সহিত, তোমাদের ভাবী বংশের সহিত ১০ও তোমাদের সঙ্গী যাবতীয় প্রাণীর ১• সহিত, পক্ষী এবং গ্রাম্য ও বন্য পশু, পৃথিবীস্থ যত প্রাণী জাহাজ হইতে বাহির হইয়াছে, তাহদের সহিত ১১ আমি আমার নিয়ম স্থির করি। ১১আমি তোমাদের সহিত আমার নিয়ম স্থির করি; জলপ্লাবন দ্বারা সমস্ত প্রাণী আর উচ্ছিন্ন হইবে না; এবং পৃথিবীর ১২ বিনাশার্থ জলপ্লাবন আর হইবে না। ১২ঈশ্বর আরও কহিলেন, আমি তোমাদের সহিত ও তোমাদের সঙ্গী যাবতীয় প্রাণীর সহিত চিরস্থায়ী পুরুষপরম্পরার জন্য ১৩ যে নিয়ম স্থির করিলাম, তাহার চিহ্ন এই। ১৩আমি মেঘে আপন ধনু স্থাপন করি, তাহাই পৃথিবীর সহিত ১৪ আমার নিয়মের চিহ্ন হইবে। ১৪যখন আমি পুথিবীর উর্দ্ধে মেঘের সঞ্চার করিব, তখন সেই ধনু মেঘে দৃষ্ট ১৫ হইবে; ১৫তাহাতে তোমাদের সহিত ও মাংসময় সমস্ত প্রাণীর সহিত আমার যে নিয়ম আছে, তাহ আমার স্মরণ হইবে, এবং সকল প্রাণীর বিনাশার্থ জলপ্লাবন ১৬ আর হইবে না। ১৬আর মেঘধনুক হইলে আমি তাহার প্রতি দৃষ্টিপাত করিব; তাহাতে মাংসময় যত প্রাণী পৃথিবীতে আছে, তাহদের সহিত ঈশ্বরের যে চির১৭ স্থায়ী নিয়ম, তাহ। আমি স্মরণ করিব। ১৭ঈশ্বর নোহকে কহিলেন, পৃথিবীস্থ সমস্ত প্রাণীর সহিত আমার স্থাপিত নিয়মের এই চিহ্ন হইবে।

নোহের তিন পুত্রের বিবরণ।

১৮নোহের যে পুত্রেরা জাহাজ হইতে বাহির হইলেন, তাহদের নাম শেম, হাম ও যেফৎ; সেই হাম ১৯ কনানের পিত। ১৯এই তিন জন নোহের পুত্র; ইহাদেরই বংশ সমস্ত পৃথিবীতে ব্যাপ্ত হইল।

২০পরে নোহ কৃষিকর্ম্মে প্রবৃত্ত হইয়া দ্রাক্ষাক্ষেত্র ২১ করিলেন। ২১আর তিনি দ্রাক্ষারস পান করিয়া মত্ত হইলেন, এবং তাম্বুর মধ্যে বিবস্ত্র হইয়া পড়ি২২ লেন। ২২তখন কনানের পিতা হাম আপন পিতার উলঙ্গতা দেখিয়া বাহিরে আপন দুই ভ্রাতাকে ২৩ সমাচার দিল। ২৩তাহাতে শেম ও যেফৎ বস্ত্র লইয়া আপনাদের স্বন্ধে রাখিয়া পশ্চাৎ হাটিয়া পিতার উলঙ্গত আচ্ছাদন করিলেন; পশ্চাদিকে মুখ থাকাতে তাহাবা পিতার উলঙ্গতা দেখিলেন না। ২৪পরে নোহ দ্রাক্ষরসের নিদ্রা হইতে জাগ্রত হইয়া আপনার প্রতি কনিষ্ঠ পুত্রের আচরণ অবগত হই২৫ লেন। ২৫আর তিনি কহিলেন,

কনান অভিশপ্ত হউক,
সে আপন ভ্রাতাদের দাসানুদাস হইবে।

২৬তিনি আরও কহিলেন,

শেমের ঈশ্বর সদাপ্রভু ধন্য;
কনান তাহার দাস হউক।
২৭ঈশ্বর যেফৎকে বিস্তীর্ণ করুন:

সে শেমের তাম্বুতে বাস করুক,
আর কনান তাহার দাস হউক।

২৮জলপ্লাবনের পরে নোহ তিন শত পঞ্চাশ বৎসর ২৯ জীবৎ থাকিলেন। ২৯সর্ব্বশুদ্ধ নোহের নয় শত পঞ্চাশ বৎসর বয়স হইলে তাহার মৃত্যু হইল।

নোহের বংশের বিবরণ।

১০নোহের পুত্র শেম, হাম ও যেফতের বংশবৃত্তান্ত এই। জলপ্লাবনের পরে তাহদের সন্তান সন্ততি জন্মিল।

যেফতের সন্তান—গোমর, মাগোগ, মাদয়, যবন, ৩ তুবল, মেশক ও তীরস। গোমরের সন্তান—অস্কিনস, ৪ রফিৎ ও তোগম। যবনের সন্তান—ইলীশ, তশীশ, ৫ কির্ত্তীম ও দোদীনীম। এই সকল হইতে জাতিগণের দ্বীপনিবাসীরা আপন আপন দেশে স্ব স্ব ভাষানুসারে আপন আপন জাতির নানা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হইল।

আর হামের সন্তান-কুশ, মিসর, পূট ও কনান। কুশের সন্তান—সব, হবীল, সপ্ত, রয়ম ও ৭ সপ্তকা। রয়মার সন্তান—শিব ও দদন। নিম্রোদ কুশের পুত্র; তিনি পৃথিবীতে পরাক্রমা ৯ হইতে লাগিলেন। তিনি সদাপ্রভুর সাক্ষাতে পরাক্রান্ত ব্যাধ হইলেন; তজ্জন্ত লোরে বলে, সদাপ্রভুর ১০ সাক্ষাতে পরাক্রান্ত ব্যাধ নিম্রোদের তুল্য। ১০শিনিয়র দেশে বাবিল, এরক, অক্কদ ও কলনী, এই সকল ১১ স্থান তাহার রাজ্যের প্রথম অংশ ছিল। ১১সেই দেশ হইতে তিনি অশূরে গিয়া নীনবী, রহোবোৎ পুরা, ১২ কেলহ, ১২এবং নীনবী ও কেলহের মধ্যস্থিত রেষণ পত্তন ১৩ করিলেন; উহা মহানগর। ১৩আর লুদায়, অনামীয়, ১৪ লহাবীয়, নধুহীয়, ১৪পথেষীয়, পলেষ্টীয়দের আদিপুরুষ কসলুহায়, এবং কপ্তোরীয়, এই সকল মিসরের ১৫ সন্তান। ১৫এবং কনানের জ্যেষ্ঠ পুত্র সীদোন, তাহার ১৬ পর হেৎ, ১৬যিবুরীয়, ইমোরীয়, গির্গাশীয়, ১৭হিব্বীয়, ১৭ অকীয়, সীনীয়, ১৮অর্বদীয়, সমারীয় ও হমাতীয়। পরে ১৮ কনানীয়দের গোষ্ঠী সকল বিস্তারিত হইল। ১৯সীদোন ১৯ হইতে গরীরের দিকে ঘসা পর্য্যন্ত, এবং সদোম, ঘমোরা, অদূম ও সবোয়মের দিকে লাশ। পয্যন্ত ২০ কনানীয়দের সীমা ছিল। ২০আপন আপন গোষ্ঠী, ভাষা, দেশ ও জাতি অনুসারে এই সকল হামের সন্তান।

২১যে শেম এবরের সকল সন্তানের আদিপুরুষ, আর যেফতের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা, তাহারও সন্তান সন্ততি ছিল। ২২শেমের এই সকল সন্তান—এলম, অশূর, আফকষদ, ২৩ লুদ ও অরাম। ২৩অরামের সন্তান—উষ, হল, গেথর ২৪ ও মশ। ২৪আর অফক্ষদ শেলহের জন্ম দিলেন, ও শেলহ ২৫ এবরের জন্ম দিলেন। ২৫এবরের দুই পুত্র; একের নাম পেলগ [বিভাগ], কেনন তৎকালে পৃথিবী বিভক্ত ২৬ হইল; তাহার ভ্রাতার নাম যক্তন। ২৬আর যক্তন ২৭ অলমোদদ, শেলফ, হৎসমাবৎ, যেরহ, ২৭হদোরাম ২৮ উষল, দিক্ল, ২৮ওবল, আবীমায়েল, শিবা,

২৯ওফীর, হবীল।
7