পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২, ৩ ৬ তাহার খড়গধারে সেই নগরবাসী দিগকে আঘাত করল, কিন্তু ঐ ব্যক্তিকে ও তাহার সমস্ত গোষ্ঠীকে ২৬ ছাড়িয়। দিল । পরে ঐ ব্যক্তি হিত্তয়দের দেশে গিয়৷ এক নগর পত্তন করয় তাহার নাম লুস রাখিল ; তাহা অদ্য পর্য্যন্ত সেই নামে আখ্যাত আছে । ২৭ আর মনঃশি উপনগরের সহিত বৈৎশান, উপনগরের সহিত তনিক, উপনগরের সহিত দোর, উপনগরের সহিত যিবিয়ম, ও উপনগরের সহিত মগিদ্ধো, এই সকল স্থাননিবাসীদিগকে অধিকারচু্যত করিল না ; কনানীয়রা সেই দেশে বাস করিতে স্থিরসঙ্কল্প ২৮ ছিল। পরে ইস্রায়েল যখন প্রবল হইল, তখন সেই কনানীয়দিগকে কৰ্ম্মাধান দাস করিল, কিন্তু সম্পূর্ণরূপে অধিকারচু্যত করিল না। আর ইফfয়ম গেষর-নিবাসী কনানীয়দিগকে অধিকারচ্যুত করিল না ; কনানীয়ের গেষরে তাহাদের মধ্যে বাস করিতে থাকিল । ৩• সবুলুন কিটরোণ ও নহলোল নিবাসী দিগকে অধিকারচুতি করিল না ; কনানীয়ের তাহদের মধ্যে বাস করিতে থাকিল, আর কৰ্ম্মাধীন দাস হইল। আশের অক্কো, সাঁদোন, অহলব, আকর্ষীব, হেল্বা, অফীক ও রহোব নিবাসীদিগকে অধিকারচু্যত করিল ৩২ না। অশেরীয়ের দেশনিবাসী কনানীয়দের মধ্যে বাস করিল, কেননা তাহার। তাহাদিগকে অধিকারচুতি করে নাই। ন গুলি বৈৎ-শেমশের ও বৈৎ-অনীতের নিবাসীদিগকে অধিকারচু্যত করিল না ; তাহার দেশনিবাসী কননীয়দের মধ্যে বাস করিল, তার বৈৎ-শেমশের * বৈৎ-অনতের নিবাসীরা তাহদের কৰ্ম্মাধীন দাস হহল । আর ইমোরীয়ের দানের সন্তানগণকে পৰ্ব্বতময় দেশে রোধ করিল, তলভূমিতে নামিয়া আসিতে দিল ৩৫ না ; ইমেরায়ের হেরস পৰ্ব্বতে, অয়ালোনে ও শালবীমে বাস করিতে থাকিল ; কিন্তু যোষেফ-কুলের হস্ত বলবৎ হইয়। উঠিল, তাহাতে উহার কৰ্ম্মাধীন দাস ৩৬ হইল। আক্রববীম আরোহণ-স্থান এবং সেল অবধি উপরের দিকে ইমেরীয়দের অঞ্চল ছিল। ইস্রায়েলীয়দের অবাধ্যতা ও ঈশ্বরীয় শাসন । ૨ আর সদাপ্রভুর দূত গিল্গল হইতে বোর্থীমে উঠিয়া আসিলেন। তিনি কহিলেন, আমি তোমাদিগকে মিসর হইতে বাহির করিয়া আনিয়াছি ; যে দেশ দিতে তোমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে দিব্য করিয়ছিলাম, সেই দেশে তোমাদিগকে আনিয়াছি, আর এই কথা বলিয়াছি, আমি তোমাদের সহিত ২ ক্যাপন নিয়ম কখনও ভঙ্গ করিব না ; তোমরাও এই দেশনিবাসীদের সহিত নিয়ম স্থির কfরবে না, তাহাদের যজ্ঞবেদি সকল ভাঙ্গিয়া ফেলিবে । কিন্তু তোমরা శిన "రి: w39 38 বিচারকর্তৃগণের বিবরণ। [ > ; २७- ९ ; s१ ॥ আমার রবে কর্ণপাত কর নাই ; কেন এমন কৰ্ম্ম করি৩ য়াছ । এই জন্ত আমিও কহিলাম, তোমাদের সন্মুখ হইতে আমি এই লোকদিগকে দূর করিব না ; তাহার তোমাদের পার্শ্বে কণ্টকস্বরূপ, ও তাহদের দেবগণ ৪ তোমাদের ফাদস্বরূপ হইবে। তখন সদাপ্রভুর দূত ইস্রায়েল-সন্তান সকলকে এই কথা কহিলে লোকেরা ৫ উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে লাগিল। আর তাহার সেই স্থানের নাম বোর্থীম [ রোদনকারিগণ] রাখিল ; পরে তাহার সেই স্থানে সদাপ্রভুর উদেশে বলিদান করিল। ৬ যিহোশূয় লোকদিগকে বিদায় করিলে পর ইস্রায়েল-সন্তানগণ দেশ অধিকার করিবার জন্ত প্রত্যেকে ৭ আপন আপন অধিকারে গিয়াছিল। আর যিহোশুয়ের সমস্ত জীবনকালে, এবং যে প্রাচীনবর্গ যিহোশুয়ের মরণের পর জীবিত ছিলেন, ও ইস্রায়েলের জন্ত সদাপ্রভুর কৃত সমস্ত মহাকাৰ্য্য দেখিয়াছিলেন, তাহাদেরও সমস্ত জীবনকালে লোকের সদপ্রভুর সেবা ৮ করিল। পরে নুনের পুত্ৰ সদাপ্রভুর দাস যিহেীশূর ৯ এক শত দশ বৎসর বয়সে মরিলেন । তাহীতে লোকেরা গীশ পৰ্ব্বতের উত্তর পর্বতময় ইক্রয়িম প্রদেশস্থ তিমুৎহেরসে তাহার অধিকারের অঞ্চলে তাহার কবর দিল । ১০ আর সেই কালের অন্ত সকল লোকও পিতৃলোকদের নিকটে সংগৃহীত হইল, এবং তাঁহাদের পরে নূতন বংশ উৎপন্ন হইল, ইহারী সদাপ্রভুকে জানিত না, এবং ইস্রায়েলের জন্ত তাহার কৃত কাৰ্য্য জ্ঞাত ছিল ১১ না। ইস্রায়েল সন্তানগণ সদাপ্রভুর দৃষ্টিত যাহা মন্দ, তাহাই করিতে লাগিল ; এবং বাল দেবগণের সেব ১২ করিতে লাগিল। আর যিনি তাহীদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর, যিনি তাহাদিগকে মিসর দেশ হইতে বাহির করিয়া আনিয়াছিলেন, সেই সদাপ্রভুকে ত্যাগ করিয়া অন্ত দেবগণের, অর্থাৎ আপনাদের চতুৰ্দ্দিকৃস্থিত লোকদের দেবগণের অনুগামী হইয় তাহদের কাছে প্ৰণিপাত করিতে লাগিল, এইরূপে সদাপ্রভুকে ১৩ অসন্তুষ্ট করিল। তাহারী সদাপ্রভুকে ত্যাগ করিয়া বাল দেবের ও অষ্টারোৎ দেবীদের সেবা করিত । ১৪ তাহাতে ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর ক্রোধ প্রজ্বলিত হইল, তার তিনি তাহাদিগকে লুটকারিগণের হস্তে সমর্পণ করিলেন, তাহারা তাহদের দ্রব্য লুট করিল ; আর তিনি তাহদের চতুৰ্দ্দিকৃস্থ শক্রগণের হস্তে তাহাদিগকে বিক্রয় করিলেন, তাহাতে তাহারা আপন ১৫ শত্ৰগণের সম্মুখে আর দাড়াইতে পারিল না। সদাপ্রভু যেমন বলিয়াছিলেন, ও তাহীদের কাছে যেমন দিব্য করিয়ছিলেন, তদনুসারে তাহারা যে কোন স্থানে যাহত, সেই স্থানে অমঙ্গলার্থে সদাপ্রভুর হস্ত তাহদের বিরোধী ছিল ; এইরূপে তাহারা অতিশয় ক্লিষ্ট হইত। ১৬ তখন সদাপ্রভু বিচারকত্ত্বগণকে উৎপন্ন করিতেন, আর তাহার লুটকারিগণের হস্ত হইতে তাহাদিগকে নিস্তার ১৭ করিতেন ; তথাপি তাহারা আপনাদের বিচারকত্তা 206