পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ ; ৮ – ২৩ ; ১৬ । ] আমার পিতঃ । তিনি কহিলেন, হে বৎস, দেখ, এই আমি। তখন তিনি কহিলেন, এই দেখুন, অগ্নি ও কাষ্ঠ, কিন্তু হোমের নিমিত্তে মেষশাবক কোথায় ? ৮ অব্রাহাম কহিলেন, বৎস, ঈশ্বর আপনি হোমের জন্ত মেষশাবক যোগাইবেন । পরে উভয়ে একসঙ্গে চলিয়৷ গেলেন । ঈশ্বরের নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হইলে অব্রাহাম সেখানে যজ্ঞবেদি নিৰ্ম্মাণ করিয়া কাষ্ঠ সাজাইলেন, পরে আপন পুত্র ইসহাককে বাধিয়া বেদিতে কাঠের ১• উপরে রাখিলেন । পরে অব্রাহাম হস্ত বিস্তার করিয়া আপন পুত্রকে বধ করণার্থে খড়গ গ্রহণ করিলেন। ১১ এমন সময়ে আকাশ হইতে সদাপ্রভুর দূত তাহাকে ডাকিলেন, কহিলেন, অব্রাহাম, অব্রাহাম । তিনি ১২ কহিলেন, দেখুন, এই আমি। তখন তিনি বলিলেন, যুবকের প্রতি তোমার হস্ত বিস্তার করিও না, উহার প্রতি কিছুই করিও না, কেনন। এখন আমি বুঝিলাম, তুমি ঈশ্বরকে ভয় কর, আমাকে আপনার ১৩ অদ্বিতীয় পুত্র দিতেও অসম্মত নও। তখন অব্রাহাম চক্ষু তুলিয়। চাহিলেন, আর দেখ, তাহার পশ্চাৎ দিকে একটা মেষ, তাহার শৃঙ্গ ঝোপে বদ্ধ; পরে অব্রাহাম গিয়৷ সেই মেষটা লইয়া আপন পুত্রের পরিবৰ্ত্তে হোমার্থ ১৪ বলিদান করিলেন । আর অব্রাহাম সেই স্থানের নাম যিহোব-ফিরি | সদাপ্রভু যোগাইবেন) রাখিলেন। এই জন্য অদ্যপি লোকে বলে, সদাপ্রভুর পর্বতে যোগান হইবে। ১৫ পরে সদাপ্রভুর দূত দ্বিতীয় বার আকাশ হইতে । ১৬ অব্রাহামকে ডাকিয় কহিলেন, সদাপ্রভু বলিতেছেন, । তুমি এই কাৰ্য্য করিলে, আমাকে আপনার অদ্বিতীয় : পুত্র দিতে অসম্মত হইলে না, এই হেতু আমি আমারই ১৭ দিব্য করিয়া কহিতেছি, আমি অবস্থা তোমাকে আশীৰ্ব্বাদ করিব, এবং আকাশের তারাগণের ও সমুদ্রতীরস্থ বালুকার হ্যায় তোমার অতিশয় বংশবৃদ্ধি করিব ; তোমার বংশ শক্রগণের পুরদ্বার অধিকার করিবে ; ১৮ আর তোমার বংশে পৃথিবীর সকল জাতি আশীৰ্ব্বাদ প্রাপ্ত হইবে ; কারণ তুমি আমার বাক্যে অবধান ১৯ করিয়াছ । পরে অব্রাহাম আপিন দাসদের নিকটে ফিরিয়া গেলেন, আর সকলে উঠিয় একত্র বেরশেবতে গেলেন ; এবং অব্রাহাম বের-শেবাতে বসতি করিলেন। ঐ ঘটনার পরে অব্রাহীমের নিকটে এই সমাচার আসিল, দেখুন, আপনার ভ্রাতা নাহোরের জন্য ২১ মিল্কাও পুত্ৰগণকে প্রসব করিয়াছেন ; তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র উষ ও তাহার ভ্রাত। বৃষ ও অরামের পিতা কমূ ২২ য়েল, এবং কেন্দ, হুলে, পিলদশ, যিদলফ ও বথুয়েল। ২৩ বধূয়েলের কন্য। রিবিক। অব্রাহামের ভ্রাতা নাহোরের సి ২০ আদিপুস্তক । ২৪ জন্য মিন্ধী এই আট জনকে প্রসব করেন। আর রূম | নামে তাহার উপপত্নী টেবহ, গহম, তহশ এবং মাথা, এই সকলকে প্রসব করিল। | о. т. 4) 》 সারার মৃত্যু ও সমাধি । འདྲེ༄) সারার বয়স এক শত সাতাইশ বৎসর হইয়াছিল ; সারার জীবনকাল এত বৎসর। পরে সারা কনান দেশস্থ কিরিয়থর্বে অর্থাৎ হিত্ৰোণে মরিলেন। আর অব্রাহাম সারার নিমিত্তে শোক ও রোদন ৩ করিতে আসিলেন। পরে অব্রাহীম আপন মৃতের সম্মুখ হইতে উঠিয়া গিয়া হেতের সন্তানদিগকে কহি৪ লেন, আমি আপনাদের মধ্যে বিদেশী ও প্রবাসী ; আপনাদের মধ্যে আমাকে কবরস্থানের অধিকার দিউন ; আমি আমার সম্মুখ হইতে আমার এ মৃতকে কবর দিই। তখন হেতের সন্তানের অব্রা৬ হামকে উত্তর করিলেন, হে প্রভো, আমাদের কথা শুনুন ; আপনি আমাদের মধ্যে ঈশ্বরনিযুক্ত রাজাস্বরূপ ; আপনার মৃতকে আমাদের কবরস্থানের মধ্যে আপনার অভীষ্ট কবরে রাখুন, আপনার মৃতকে কবর দিবার জন্য আমাদের কেহ নিজ কবর অস্বীকার করিবে ৭ না । তখন অব্রাহাম উঠিয়৷ তদেশীয় লোকদিগের, অর্থাৎ হেতের সন্তানগণের কাছে প্ৰণিপাত করিলেন, ৮ ও সম্ভাষণ করিয়া কহিলেন, আমার সম্মুখ হইতে আমার মৃতকে কবরে রাথিতে যদি আপনাদের সন্মতি হয়, তবে আমার কথা শুনুন । আপনার আমার জন্য সৌহরের পুত্র ইফ্রোণের কাছে নিবেদন করুন ; ৯ তাহার ক্ষেত্রের প্রান্তে মকপেলা গুহা আছে, আপনাদের মধ্যে আমার কবরস্থানের অধিকারার্থে তিনি আমাকে তাহাই দিউন ; সম্পূর্ণ মূল্য লইয়া দিউন। ১০ তপন ইফোণ হেতের সন্তানদের মধ্যে বসিয়া ছিলেন ; আর হেতের যত সন্তান তাহার নগরদ্বারে প্রবেশ করিলেন, তাহদের কর্ণগোচরে সেই হিৰ্ত্তীয় ইফ্রোণ ১১ অব্রাহামকে উত্তর করিলেন, হে আমার প্রভো, তাহ হইবে না ; আমার কথা শুনুন, আমি সেই ক্ষেত্র ও তথাকার গুহা আপনাকে দান করিলাম ; আমি নিজ জাতির সন্তানদের সাক্ষাতেই আপনাকে তাহা ১২ দিলাম, আপনার মৃতকে কবর দিউন । তখন অব্রাহাম তদেশীয় লোকদের সাক্ষাতে প্ৰণিপাত ১৩ করিলেন, আর তদেশীয় সকলের কর্ণগোচরে ইফ্রোণকে কহিলেন, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, নিবেদন করি, আমার কথা শুনুন, আমি সেই ক্ষেত্রের মূল্য দিই, আপনি আমার নিকটে তাহ। গ্রহণ করুন, পরে আমি সে স্থানে আমার মৃতকে কবর ১৪ দিব। তখন ইফ্রোণ উত্তর দিয়া অব্রাহামকে কহিলেন, ১৫ হে আমার প্রভো, আমার কথা শুনুন, সেই ভুমির মূল্য চারি শত শেকল রৌপ্যমাত্র ; ইহাতে আপনার ও আমার কি আইসে যায় ? আপনি নিজ ১৬ মৃতকে কবর দিউন । তখন অব্রাহাম ইফ্রোণের বাক্যে অবধান করিলেন ; ইফ্রোণ হেতের সন্তানদের কর্ণগোচরে যে রৌপ্যের কথা বলিয়াছিলেন, অব্রাহাম তাহ, অর্থাৎ বণিকদের মধ্যে প্রচলিত 17