২ ; ১২ – ৩ ; ১২ ৷ ] কহিতেছেন, ইতিমধ্যে দেখ, অগ্নিময় এক রথ ও অগ্নিময় অশ্বগণ আসিয় তাহাদিগকে পৃথক্ করিল, ১২ এবং এলিয় ঘূর্ণবায়ুতে স্বর্গে উঠিয়া গেলেন। আর ইলীশায় তাহ দেখিলেন, এবং উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, হে আমার পিতঃ, হে আমার পিতঃ, হে ইস্রায়েলের রথসমূহ ও তাহার অশ্বারোহিগণ। পরে তিনি তাহাকে আর দেখিতে পাইলেন না ; তখন আপন বস্ত্র ধরিয়া ১৩ চিরিয়া দুই খান করিলেন । আর তিনি এলিয়ের গাত্র হইতে পতিত শালখানি তুলিয়া লইলেন, এবং ফিরিয়া ২৪ গিয়া যদ্দনের ধারে দাড়াইলেন। পরে তিনি এলিয়ের গাত্র হইতে পতিত সেই শালথানি লইয়া জলে আঘাত করিয়া কহিলেন, এলিয়ের ঈশ্বর সদাপ্রভু কোথায় ? আর তিনিও জলে আঘাত করিলে জল এদিকে ওদিকে বিভক্ত হইল, এবং ইলশায় পার হইয়া গেলেন। ১৫ তখন যিরীহোর শিষ্য ভাববাদিগণ সম্মুখে { থাকায় ] তাহ দেখিয়া কহিল, এলিয়ের আত্মা ইলীশায়ে অধি ষ্ঠিত হইয়াছে। পরে তাহার। তাহার সঙ্গে দেখা করিয়া ১৬ তাহার সম্মুখে ভূমিতে প্ৰণিপাত করিল। আর তাহাকে কহিল, দেখুন, আপনার দাসগণের এখানে পঞ্চাশ জন বলবান্ লোক আছে ; বিনয় করি, তাহার। আপনার প্রভুর অন্বেষণে যাউক । কি জানি, সদাপ্রভুর আত্ম। তাহাকে উঠাইয়া কোন পৰ্ব্বতে কিম্ব কোন উপত্যকাতে ফেলিয়া গিয়াছেন। তিনি কহিলেন, পাঠা১৭ ইও না। তথাপি তাহার। তাহাকে পীড়াপীড়ি করিলে তিনি লজ্জিত হইয়া কহিলেন, পাঠাইয় দেও। অতএব তাহারা পঞ্চাশ জন লোক পঠাইয়। দিল ; উহার তিন দিন পর্য্যন্ত অন্বেষণ করিল, কিন্তু তাহাকে পাইল ১৮ না। পরে উহার। ইলীশায়ের নিকটে ফিরিয়া আসিল : তখনও তিনি যিরীহোতে ছিলেন । তিনি কহিলেন, আমি কি তোমাদিগকে বলি নাই, যাইও না ? ইলীশায়ের বিবরণ। ১৯ পরে নগরের লোকের ইলীশায়কে কহিল, বিনয় করি, দেখুন, এই নগরের স্থান রম্য বটে, ইহাত প্রভু দেখিতেছেন ; কিন্তু জল মন্দ ও ভূমি ফলনাশক। ২• তিনি কহিলেন, আমার কাছে নুতন একটা ভাড় আনিয়া তাহাতে লবণ রাখ। পরে তাহার কাছে তাহী ২১ আনীত হইল। তিনি বাহির হইয়া জলের উনুহর নিকট গিয়া তাহাতে লবণ ফেলিলেন, এবং কহিলেন, সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি এ জল ভাল করিলাম, অদ্যাবধি ইহা আর মৃত্যুজনক কি ফলনাশক ২২ হইবে না। ইলীশায়ের উক্ত সেই বাক্যানুসারে সেই জল অদ্য পৰ্য্যন্ত ভাল হইয়া আছে। পরে তিনি তথা হইতে বৈথেলে চলিলেন ; আর তিনি পথ দিয়া উপরে যাইতেছেন, এমন সময়ে নগর হইতে কতকগুলি বালক আসিয়। তাহীকে বিদ্রুপ করিয়া কহিল,রে টাকৃপড়া, উঠিয়৷ আয় ; রে ২৪ টাকৃপড়া, উঠিয়৷ আয়। তখন তিনি পশ্চাৎ দিকে মুখ 求○ ২ রাজাবলি । ○ > Q ফিরাইয় তাহাদিগকে দেখিলেন, এবং সদাপ্রভুর নামে তাহাদিগকে শাপ দিলেন ; আর বন হইতে দুইটা ভল্লুক আসিয়া তাহাদের মধ্যে বেয়াল্লিশ জন বালক ২৫ কে ছিড়িয়া ফেলিল। পরে তিনি তথা হইতে কৰ্শ্বিল পৰ্ব্বতে গেলেন, এবং তথা হইতে শমরিয়ায় ফিরিয়া আসিলেন। ইস্রায়েলীয় ও যিহুদীয় সৈন্তসামন্তের রক্ষা । যিহুদা-রাজ যিহেশাফটের অষ্টাদশ বৎসরে আহাবের পুত্ৰ যিহোরাম শমরিয়ায় ইস্রায়েলের উপরে রাজত্ব করিতে আরম্ভ করেন, এবং বার ২ বৎসর রাজত্ব করেন। সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, তিনি তাহাই করিতেন ; তথাপি আপন পিতা মাতার মত ছিলেন না ; কেনন। তিনি আপন পিতার নিৰ্ম্মিত ৩ বলের স্তম্ভ দূর করিয়া দিলেন । কিন্তু নবাটের পুত্ৰ যারবিয়াম হস্রায়েলকে যে সকল পাপ দ্বারা পাপ করাইয়াছিলেন, তাহার সেই সকল পাপে তিনি আসক্ত থাকিলেন, তাহা হইতে ফিরিলেন না। ৪ মোয়াব-রাজ মেশা মেষাধিকারী ছিলেন ; তিনি ইস্রায়েল-রাজকে কররূপে এক লক্ষ মেষশাবকের ৫ এবং এক লক্ষ মেষের লোম দিতেন । কিন্তু আহাৰ মরিলে মোয়াবের রাজ ইস্রায়েল-রাজের অধীনতা ৬ ত্যাগ করিলেন । সেই সময় যিহোরাম রাজা শমরিয়া হইতে বাহিরে গিয়া সমস্ত ইস্রায়েলকে সংগ্ৰহ করি৭ লেন । পরে তিনি যাত্রা করিয়া যিহুদা-রাজ যিহোশাফটের কাছে দূত পাঠাইয়া কহিলেন, মোয়াবের রাজ। আমার অধীনতা ত্যাগ করিয়াছে, আপনি কি আমার সঙ্গে মোয়াবের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করবেন ? তিনি কহিলেন, করিব ; আমি ও আপনি, আমার লোক ও আপনার লোক, আমার আশ্ব ও আপনার ৮ অশ্ব, সকলই এক। তিনি জিজ্ঞাসিলেন, তামরা কোন পথ দিয়া যাইব ? ইনি কহিলেন, ইদোম প্রান্তরের ৯ পথ দিয়া। পরে ইস্রায়েলের রাজা, যিহদার রাজা ও ইদোমের রাজ যাত্রা করিলেন ; তাহারা সাত দিনের পথ ঘুরিয়া গেলেন ; তখন তাহদের সৈন্তের ও পশ্চাদগামী পশুদের জন্ত জল পাওয়া গেল না । ১• ইস্রায়েলের রাজা কহিলেন, হায় হায় ! সদাপ্ৰভু মোয়াবের হস্তে সমর্পণ করিবার জন্য এই তিন রাজাকে ১১ এক সঙ্গে আহবান করিয়াছেন । কিন্তু যিহোশাফট কহিলেন, সদাপ্রভুর কোন ভাববাদী কি এখানে নাই যে, তাহার দ্বারা আমরা সদাপ্রভুর কাছে অন্বেষণ করিতে পারি ? ইস্রায়েল-রাজের দাসগণের মধ্যে এক জন উত্তর করিয়া কহিল, শাফটের পুত্ৰ যে ইলশায় এলিয়ের হস্তের উপরে জল ঢালিতেন, তিনি এখানে ১২ আছেন। যিহেশাফট কহিলেন, সদাপ্রভুর বাক্য তাহার কাছে আছে। পরে ইস্রায়েলের রাজ ও 319
পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৩২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।