* १ ; २४- २>~ ; v । ] তাহার বস্ত্রের গন্ধ লইয়া তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া কহিলেন, দেখ, আমার পুত্রের স্বগন্ধ সদাপ্রভুর আশীব্বাদযুক্ত ক্ষেত্রের স্বগন্ধের স্থায় । ঈশ্বর আকাশের শিশির হইতে ও ভূমির সরসতা হইতে তোমাকে দিউন : প্রচুর শস্ত ও দ্রাক্ষারস তোমাকে দিউন। লোকবৃন্দ তোমার দাস হউক, জাতিগণ তোমার কাছে প্ৰণিপাত করুক ; তুমি আপন জ্ঞাতিদের কৰ্ত্তী হও, তোমার মাতৃপুত্রেরা তোমার কাছে প্ৰণিপাত করুক। যে কেহ তোমাকে অভিশাপ দেয়,সে অভিশপ্ত হউক ; যে o তোমাকে আশীৰ্ব্বাদ করে, সে আশীৰ্ব্ববাদযুক্ত ক । ইস্হাক যখন যাকোবের প্রতি আশীৰ্ব্বাদ শেষ করিলেন, তখন যাকোব আপন পিতা ইস্হাকের সম্মুখ হইতে যাইতে ন যাইতেই তাহার ভ্রাতা এষে৷ ৩১ মৃগয়া করিয়৷ ঘরে আসিলেন। তিনিও সুস্বাদু খাদ্য প্রস্তুত করিয়া পিতার নিকটে আনিয়া কহিলেন, পিতঃ, আপনি উঠিয়৷ পুত্রের আনীত মৃগমাংস ভোজন করুন, ৩২ যেন আপনার প্রাণ আমাকে আশীৰ্ব্বাদ করে। তখন তাহার পিতা ইসহাক কহিলেন, তুমি কে ? তিনি ৩৩ কহিলেন, আমি আপনার জ্যেষ্ঠ পুত্র এম্বেী। তখন ইস্হাক মহাকম্পনে অতিশয় কম্পিত হইয়। কহিলেন, তবে সে কে, যে মৃগয়া করিয়া আমার নিকটে মৃগমাংস আনিয়াছিল ? আমি তোমার আসিবার পূৰ্ব্বেই তাহ ভোজন করিয়া তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়াছি, আর সেই ৩৪ আশীব্বাদযুক্ত থাকিবে । পিতার এই কথা শুনিবামাত্র এষে সাতিশয় ব্যাকুলচিত্তে মহাচীৎকার শব্দ করিতে লাগিলেন, এবং আপন পিতাকে কহিলেন, হে পিতঃ, ৩৫ আমাকে, আমাকেও আশীৰ্ব্বাদ করুন। ইস্হাক কহিলেন, তোমার ভ্রাত ছল ভাবে আসিয়া তোমার আশী৩৬ বৰ্বাদ হরণ করিয়াছে। এষেী কহিলেন, তাহার নাম কি যাকোব [বঞ্চক] নয় ? বাস্তবিক সে দুই বার আমাকে প্রবঞ্চন করিয়াছে ; সে আমার জ্যেষ্ঠাধিকার হরণ করিয়াছিল, এবং দেখুন, এখন আমার আশীৰ্ব্বাদও হরণ করিয়াছে । তিনি আবার কহিলেন, আপনি কি ৩৭ আমার জন্ত কিছুই আশীৰ্ব্বাদ রাখেন নাই ? তখন ইসহাক উত্তর করিয়া এৰোঁকে কহিলেন, দেখ, আমি তাহাকে তোমার কৰ্ত্ত করিয়াছি, এবং তাহার জ্ঞাতি সকলকে তাহারই দাস করিয়াছি, এবং তাহাকে শস্ত ও দ্রাক্ষারস দিয়া সবল করিয়াছি ; বৎস, এখন ৩৮ তোমার জন্ত আর কি করিতে পারি ? এষে আবার আপন পিতাকে কহিলেন, হে পিতঃ, আপনার কি কেবল ঐ একটা আশীব্বাদ ছিল ? হে পিতঃ, আমাকে, আমাকেও আশীৰ্ব্ববাদ করুন। ইহা বলিয়া এষে উচ্চৈঃ৩৯ স্বরে রোদন করিতে লাগিলেন। তখন তাহার পিতা ইসৃহাক উত্তর করিয়া কহিলেন, 을 ২৯ No o আদিপুস্তক । २ ॐ দেখ, তোমার বসতি ভূমির সরসতাবিহীন হইবে, উপরিস্থ আকাশের শিশিরবিহীন হইবে। ৪• তুমি খড়গজীবী এবং আপন ভ্রাতার দাস হইবে ; কিন্তু যখন তুমি আস্ফালন করিবে, আপন গ্রীব। হইতে তাহার যোয়ালি ভাঙ্গিবে। যাকোব হারণে যান। ৪১ যাকোব আপন পিতা হইতে আশীৰ্ব্বাদ পাইয়াছিলেন বলিয়৷ এষে যাকোবকে দ্বেষ করিতে লাগিলেন । আর এষে মনে মনে কহিলেন, আমার পিতৃশোকের কাল প্রায় উপস্থিত, তৎপরে আমার ভাই যাকোবকে ৪২ বধ করিব। জ্যেষ্ঠ পুত্র এীের এরূপ কথা রিবিকার কর্ণগোচর হইল, তাহাতে তিনি লোক পাঠাইয়৷ কনিষ্ঠ পুত্র যাকোবকে ডাকাইলেন, কহিলেন, দেখ, তোমার ভ্রাত এযে তোমাকে বধ করিবার ৪৩ আশাতেই মনকে প্রবোধ দিতেছে। এখন, হে বৎস, আমার কথা শুন ; উঠ, হারণে আমার ভ্রাতা লাবনের ৪৪ নিকট পলাইয় যাও ; এবং সেখানে কিছু কাল থাক, যে পৰ্য্যন্ত তোমার ভ্রাতার ক্রোধ নিবৃত্ত না হয়। ৪৫ তোমার প্রতি ভ্রাতার ক্রোধ নিবৃত্ত হইলে, এবং তুমি তাহার প্রতি যাহা করিয়াছ, তাহ সে ভুলিয়া গেলে আমি লোক পাঠাইয়া তথা হইতে তোমাকে আনাইব । এক দিনে তোমাদের দুই জনকেই কেন হারাইব ? আর রিবিক ইস্হাককে কহিলেন, এই হিৰ্ত্তীয়দের কষ্ঠাদের বিষয় আমার প্রাণে ঘৃণা হইতেছে : যদি যাকোবও ইহাদের মত কোন হিৰ্ত্তীয় কষ্ঠাকে, এতদেশীয় কস্তাদের মধ্যে কোন কন্যাকে বিবাহ করে, তবে প্রাণধারণে আমার কি লাভ ? २b’ তখন ইসহাক যাকোবকে ডাকিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিলেন, এবং এই আজ্ঞা দিয় তাহাকে কহিলেন, তুমি কনান দেশীয় কোন কস্তাকে বিবাহ করিও ২ না। উঠ, পদন-অরামে আপন মাতামহ বথুয়েলের বাটীতে গিয়া সে স্থানে আপন মাতুল লাবনের কোন ৩ কন্যাকে বিবাহ কর । আর সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তোমাকে আশীৰ্ব্ববাদ করিয়া ফলবান ও বহুপ্রজ করুন, যেন তুমি ৪ জাতিসমাজ হইয়। উঠ । তিনি অব্রাহীমের আশীৰ্ব্ববাদ তোমাকে ও তোমার সহিত তোমার বংশকে দিডন ; যেন তোমার প্রবাসস্থান এই যে দেশ ঈশ্বর অব্রাহামকে ৫ দিয়াছেন, ইহাতে তোমার অধিকার হয়। পরে ইসহাক যাকোবকে বিদায় করিলে তিনি পদ্ধন-অরামে আরামীয় বথুয়েলের পুত্র লাবনের নিকট যাত্রা করিলেন ; সেই ব্যক্তি যাকোবের ও এষেীর মাতা রিবিকার ভ্রাতা । ৬ এম্বেী যখন দেখিলেন, ইসহাক যাকোবকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া বিবাহাৰ্থ কষ্ঠ গ্রহণজষ্ঠ পদন-অরামে বিদায় করিয়াছেন, এবং আশীৰ্ব্ববাদের সময় কনানীয় কোন কন্যাকে বিবাহ করিতে নিষেধ করিয়াছেন, ৭ এবং যাকোব মাতা পিতার আজ্ঞা মানিয়া পদন-আরামে ৮ যাত্রা করিয়াছেন, তখন এষে দেখিলেন যে, কনানীয় 8や 23
পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।