○S; ミレー○○ ; ミs l ] ২৮ নিকটে গিয়া নগর লুট করিল। তাহার। উহাদের মেষ, গোরু ও গর্দভ সকল এবং নগরস্থ ও ক্ষেত্রস্থ ২৯ যাবতীয় দ্রব্য হরণ করিল ; আর উহাদের শিশু ও স্ত্রীগণকে বন্দি করিয়া উহাদের সমস্ত ধন ও গৃহের ৩• সৰ্ব্বস্ব লুট করিল। তখন যাকোব শিমিয়োন ও লেবিকে কহিলেন, তোমরা এই দেশনিবাসী কনানীয় ও পরিষীয়দের নিকটে আমাকে দুৰ্গন্ধস্বরূপ করিয়া ব্যাকুল করিলে ; আমার লোক অল্প, তাহারা আমার বিরুদ্ধে একত্র হইয়। আমাকে আঘাত করিবে ; ৩১ আর আমি সপরিবারে বিনষ্ট হইব। তাহার উত্তর করিল, যেমন বেখ্যার সহিত, তেমনি আমাদের ভগি নীর সহিত ব্যবহার করা কি তাহার উচিত ছিল ? যাকোবের বৈথেলে গমন । রাহেলের মৃত্যু। বৈথেলে গিয়া সে স্থানে বাস কর ; এবং তোমার ভ্রাত এষের সম্মুখ হইতে তোমার পলায়নকালে যে ঈশ্বর তোমাকে দর্শন দিয়াছিলেন, তাহার উদ্দেশে ২ সেই স্থানে যজ্ঞবেদি নিৰ্ম্মাণ কর। তখন যাকোব আপন পরিজন ও সঙ্গী লোক সকলকে কহিলেন, তোমাদের কাছে যে সকল ইতর দেবতা আছে, তাহাদিগকে দূর কর, এবং শুচি হও, ও অন্ত বস্ত্র পর। ৩ আর আইস, আমরা উঠিয় বৈথেলে যাই ; যে ঈশ্বর আমার সঙ্কটের দিনে আমাকে প্রার্থনার উত্তর দিয়াছিলেন, এবং আমার গমনপথে সহবৰ্ত্তী ছিলেন, তাহার উদ্দেশে আমি সেই স্থানে এক যজ্ঞবেদি ৪ নিৰ্ম্মাণ করিব। তাহাতে তাহারা আপনাদের হস্তগত ইতর দেবতা ও কর্ণকুণ্ডল সকল যাকোবকে দিল, এবং তিনি ঐ সকল শিখিমের নিকটবৰ্ত্তী এল। বৃক্ষের ৫ তলে পুতিয়া রাখিলেন। পরে তাহার। তথা হইতে যাত্রা করিলেন। তখন চারি দিকের নগরসমূহে ঈশ্বর হইতে ত্ৰাস উপস্থিত হইল, তাই তথাকার লোকের যাকোবের পুত্রদের পশ্চাৎ ধাবমান হইল না। ৬ পরে যাকোব ও তাহার সঙ্গীরা সকলে কনান ৭ দেশস্থ লুসে অর্থাৎ বৈথেলে উপস্থিত হইলেন। তথায় তিনি এক যজ্ঞবেদি নিৰ্ম্মাণ করিয়৷ সেই স্থানের নাম এল্-বৈথেল [ বৈথেলের ঈশ্বর ] রাখিলেন ; কারণ ভ্রাতার সম্মুখ হইতে তাহার পলায়নকালে ঈশ্বর সেই ৮ স্থানে তাহাকে দর্শন দিয়াছিলেন। আর রিবিকার দবোর নামী ধাত্রীর মৃত্যু হইল, এবং বৈথেলের অধঃস্থিত আলোন বৃক্ষের তলে তাহার কবর হইল, এবং সেই স্থানের নাম অলোন-বাখুৎ [রোদন-বৃক্ষ হইল। ৯ পদন অরাম হইতে যাকোব ফিরিয়া আসিলে ঈশ্বর তাহাকে পুনৰ্ব্বার দর্শন দিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । ১০ ফলতঃ ঈশ্বর তাহাকে কহিলেন, তোমার নাম যাকোব ; লোকে তোমাকে আর যাকোব বলিবে না, তোমার নাম ইস্রায়েল হইবে ; আর তিনি তাহার নাম আদিপুস্তক। ○ > ১১ ইস্রায়েল রাখিলেন। ঈশ্বর তাহাকে আরও কহিলেন, আমিই সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বর, তুমি প্রজাবান ও বহুবংশ হও ; তোমা হইতে এক জাতি, এমন কি, জাতিসমাজ উৎপন্ন হইবে, আর তোমার কটি হইতে রাজগণ ১২ উৎপন্ন হইবে। আর আমি অব্রাহামকে ও ইসহাককে যে দেশ দান করিয়াছি, সেই দেশ তোমাকে ও ১৩ তোমার ভাবী বংশকে দিব। সেই স্থানে তাহার সহিত কথোপকথন করিয়া ঈশ্বর তাহার নিকট ১৪ হইতে উৰ্দ্ধগমন করিলেন । আর যাকোব সেই কথোপকথন স্থানে এক স্তম্ভ, প্রস্তরের স্তম্ভ, স্থাপন করিয়া তাহার উপরে পেয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করিলেন ও তৈল ১৫ ঢালিয়া দিলেন । এবং যে স্থানে ঈশ্বর তাহার সহিত কথা কহিলেন, যাকোব সেই স্থানের নাম বৈথেল রাখিলেন । পরে তাহার বৈথেল হইতে প্রস্থান করিলেন, আর ইফ্রাথে উপস্থিত হইবার অল্প পথ অবশিষ্ট থাকিতে রাহেলের প্রসব-বেদন হইল ; এবং তাহার প্রসব ১৭ করিতে বড় কষ্ট হইল। আর প্রসব-ব্যথা কঠিন হইলে ধাত্রী তাহাকে কহিল, ভয় করিও না, কারণ এ বারও ১৮ তোমার পুত্রসন্তান হইবে। পরে তাহার মৃত্যু হইল, আর প্রাণবিয়োগ সময়ে তিনি পুত্রের নাম বিনোনী [আমার কষ্টের পুত্র] রাখিলেন, কিন্তু তাহার পিতা তাহার নাম বিস্তামীন [ দক্ষিণ হস্তের পুত্র ] রাখিলেন। ১৯ এইরূপে রাহেলের মৃত্যু হইল, এবং ইক্ৰাধ অর্থাৎ ২০ বৈৎলেহমের পথের পার্থে তাহার কবর হইল। পরে যাকোব তাহার কবরের উপরে এক স্তন্ত স্থাপন করিলেন, রাহেলের সেই কবর-স্তস্ত অদ্যাপি আছে। ২১ পরে ইস্রায়েল তথা হইতে যাত্রা করিলেন, এবং ২২ মিগৃদল-এদরের ওপার্থে তাম্বু স্থাপন করিলেন। সেই দেশে ইস্রায়েলের অবস্থিতি কালে রূবেণ গিয়া আপন পিতার বিলুহা নাম্নী উপপত্নীর সহিত শয়ন করিল, এবং ইস্রায়েল তাহ শুনিতে পাইলেন। ২৩ যাকোবের দ্বাদশ পুত্র। লেয়ার সন্তান ; যাকোবের জ্যেষ্ঠ পুত্র রূবেণ, এবং শিমিয়োন, লেবি, যিহুদা, ২৪ ইষীখর ও সবুলুন। রাহেলের সন্তান ; যোষেফ ও ২৫ বিস্তামীন। রাহেলের দাসী বিলুহার সন্তান ; দান ২৬ ও নপ্তালি । লেয়ার দাসী সিল্লার সন্তান ; গাদ ও আশের। ইহারা যাকোবের পুত্র, পদ-অরামে জন্মে। ইস্হাকের মৃত্যু। এষোঁর বংশাবলি। পরে কিরিয়থর্বের অর্থাৎ হিত্রোণের নিকটবৰ্ত্তী মম্রি নামক যে স্থানে অব্রাহাম ও ইসহাক প্রবাস করিয়াছিলেন, সেই স্থানে যাকোব আপন পিতা ইস্হাকের নিকটে উপস্থিত হইলেন। ২৮ ইসহাকের বয়স এক শত আশী বৎসর হইয়াছিল। ২৯ পরে ইসহাক বৃদ্ধ ও পুর্ণায়ু হইয়া প্রাণত্যাগ করিয়া আপন লোকদের নিকটে সংগৃহীত হইলেন ; এবং তাহার পুত্ৰ এষে ও যাকোব তাহার কবর দিলেন। >や 을 31
পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।