পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ : ১৫ – ৫ ; ৯ । ] যাহারা আপনাদের জন্ত ধ্বংসস্থান নিৰ্ম্মাণ করিয়ী ছিলেন ; ১৫ বা অধিপতিদের সহিত থাকিতাম, র্যাহাঁদের স্বর্ণ ছিল, যাহার রৌপ্যে স্ব স্ব গৃহ পরিপূর্ণ করিতেন ; ১৬ কিম্বা গুপ্ত গৰ্ত্তস্রাবের মত প্রাণহীন হইতাম : আলোক-দৰ্শন অপ্রাপ্ত শিশুর তুল্য হইতাম । ১৭ সেই স্থানে দুষ্টগণ আর উৎপাত করে না, সেই স্থানে শ্রান্তেরা বিশ্রাম পায় : ১৮ তথায় বন্দিগণ নিরাপদে একত্র থাকে, তাহার উপদ্রবীর রব তার শুনে না ; ১৯ সেই স্থানে ছোট বড় একই, এবং দাস আপন স্বামী হইতে মুক্ত । ২০ দুঃখীৰ্ত্তকে কেন দীপ্তি দেওয়া হয় ? তিক্তপ্রাণকে কেন জীবন দেওয়া হয় ? ২১ তাহার মৃত্যুর আকাঙক্ষ করে, কিন্তু তাহ আইসে না, তাহার। গুপ্ত ধন অপেক্ষ। তাহার সন্ধান করে । ২২ কবর পাইতে পারিলে তাহার। আহলাদ করে, মহানন্দে উল্লাসিত হয় । ২৩ ঈদৃশ লোকের পথ গুপ্ত, তাহার চতুর্দিকে ঈশ্বর বেড়া দিয়াছেন। ২৪ আমার হাহাকার আমার ভক্ষ্যবৎ হইতেছে, আমার আর্তনাদ জলের দ্যায় ঢাল। যাইতেছে। ২৫ আমি যাহা ভয় করি, তাহাই আমার ঘটে, যাহার আশঙ্কা করি, তাহাই উপস্থিত হয়। ২৬ আমার শান্তি নাই, বিরাম নাই, বিশ্রাম নাই ; কেবল উদ্বেগ উপস্থিত হয় । ইলীফসের প্রথম বক্তৃত। 3 পরে তৈমনীয় ইলীফস উত্তর করিয়া কহিলেন, তোমার সহিত কথা কহিতে চেষ্টা করিলে কি তুমি কাতর হইবে ? কিন্তু কথা কহিতে কে নিবৃত্ত হইতে পারে ? ৩ দেখ, তুমি অনেককে শিক্ষা দিয়াছ, তুমি দুৰ্ব্বল হস্ত সবল করিয়াছ। তোমার বাক্য পতনোন্মুখ লোককে উঠাইয়াছে, তুমি ভগ্ন হাটু সবল করিয়াছ। ৫ তবু এক্ষণে দুঃখ! তোমার নিকটে আসিলে তুমি কাতর হইতেছ : তাহা তোমাকে স্পর্শ করিলে তুমি বিহ্বল হইতেছ। ৬ তোমার ঈশ্বরভয় কি তোমার প্রত্যাশা নয় ? তোমার পথের সিদ্ধত কি তোমার আশাভূমি নয় ? ৭ মনে করিয়া দেখ, কে নির্দোষ হইয়া বিনষ্ট হইয়াছে ? কোথায় সরলাচারিগণ উচিছন্ন হইয়াছে ? ৮ আমি দেখিয়াছি, যাহারা অধৰ্ম্মরূপ চাস করে, যাহার। অনিষ্ট-বাজ বপন করে, তাহার। তাহাই কাটে । ৯ তাহারা ঈশ্বরের ফুৎকারে বিনষ্ট হয়, ইয়োব । তাহার কোপের নিশ্বাসে সংহার পায়। ; O. T.I. 281 o 8 II ১• সিংহের গর্জন ও মৃগেন্দ্রের হুঙ্কার (রুদ্ধ হয়], তরুণ কেশরিগণের দন্ত ভগ্ন হয়। ১১ ভক্ষ্যের অভাবে পশুরাজ প্রাণত্যাগ করে, সিংহীর শিশুগণ ছিন্নভিন্ন হয় । ১২ আমার কাছে একটা বাক্য গোপনে পহছিল, আমার কর্ণকুহরে তাহার ঈষৎ শব্দ আসিল । ১৩ রাত্রিকালীন স্বপ্নদর্শনে যখন ভাবনা জন্মে, মনুষ্য সকল যখন গভীর নিদ্রীয় নিমগ্ন হয়, ১৪ এমন সময়ে আমার ত্রাস ও কম্প হইল, তাহা আমার অস্থি সকল বিকম্পিত করিল। ১৫ পরে আমার সম্মুখ দিয়া একটা বাতাস চলিয়া গেল, আমার শরীর রোমাঞ্চিত হইল। ১৬ তাহ দাড়াইয় থাকিল, কিন্তু আমি তাহীর আকৃতি নির্ণয় করিতে পারিলাম না ; একটা মূৰ্ত্তি আমার চক্ষুর্গোচর হইল, আমি মৃদু স্বর ও এই বাণী শুনিলাম : ১৭ “ঈশ্বর অপেক্ষ • মৰ্ত্ত কি ধাৰ্ম্মিক হইতে পারে ? নিজ নিৰ্ম্মাতা অপেক্ষা গ্ৰ মনুষ্য কি শুচি হইতে পারে ? ১৮ দেখ, তিনি আপন দাসগণকেও বিশ্বাস করেন না, আপন দূতগণেতেও ক্রটির দোষারোপ করেন। ১৯ তবে যাহারা মৃন্ময় গৃহে বাস করে, যাহাদের গৃহের ভিত্তিমূল ধূলাতে স্থাপিত, যাহার কীটের দ্যায় মার্দত হয় ; তাহারা কি ? ২• তাহারা প্রভাত ও সায়ংকালের মধ্যে চূর্ণ হয় ; তাহার চিরতরে বিনষ্ট হয়, কেহ চিন্তা করে না । ২১ তাহদের আন্তরিক রজ কি খোলা যায় না ? তাহারা অজ্ঞানাবস্থায় মরিয়া যায় । ” {{ তুমি ডাক দেখি, কেহ কি তোমাকে উত্তর দিবে ? পবিত্ৰগণের মধ্যে তুমি কাহার শরণ লইবে ? ২ কারণ মনস্তাপ অজ্ঞানকে নষ্ট করে, ঈর্ষ নির্বোধকে বিনাশ করে। ৩ আমি অজ্ঞানকে বদ্ধমূল দেখিয়ছিলাম। তৎক্ষণাৎ তাহার গৃহকে শাপ দিয়াছিলাম। ৪ তাহার সন্তানগণ নিস্তার হইতে দূরীকৃত, তাহারা নগরদ্বারে বিমদিত হয়, উদ্ধারকারী কেহ নাই । ৫ ক্ষুধিত লোক তাহার শস্ত খাইয়া ফেলে, কণ্টকের বেড়া ভাঙ্গিয় তাহ হরণ করে, ফাদ তাহার সম্পত্তি গ্রাস করে । ৬ কারণ ধূলি হইতে কষ্ট উৎপন্ন হয় না, মৃত্তিক হইতে আয়াস জন্মে না: ৭ কিন্তু অগ্নির স্ফুলিঙ্গ যেমন উদ্ধে উঠে, তেমনি মনুষ্য অtয়াসের নিমিত্তে জন্মে। ৮ কিন্তু আমি ত সদাপ্রভুর অন্বেষণ করিতাম, আপনার নিবেদন ঈশ্বরে সমর্পণ করিতাম । ৯ তিনি মহৎ মহৎ কৰ্ম্ম করেন, যাহার সন্ধান করা যায় না,

  • (বা ) ঈশ্বরের সম্মুখে,..নির্মাতার যমুখে।

433